রাতের আকাশ আলোকিত করে মহাকাশযান ওরিয়ন চাঁদের চক্রাকার পথে, সফল উদ্যোগ নাসার
রাতের আকাশ আলোকিত করে মহাকাশযান ওরিয়ন চাঁদের চক্রাকার পথে, সফল উদ্যোগ নাসার
রাতের আকাশকে আলোকিত করে ওরিয়ন মহাকাশ যান চাঁদের কক্ষে যাওয়ার চক্রাকার পথে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আর্টেমিস ওয়ান রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে সফল ট্রান্স লুনার ইঞ্জেকশনে। নাসা ওরিয়নকে চাঁদের কক্ষে পাঠানোর জন্য কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আর্টেমিস ওয়ান মিশন শুরুর পর প্রতিটি পদক্ষেপে সফল এখন পর্যন্ত।
এদিন আর্টেমিস ওয়ান রকেটটি মহাকাশের শূন্যতায় ওরিয়ন চন্দ্রযানটিকে পৌঁছে দেয়। ওরিয়ন অন্তর্বর্তী ক্রায়োজনির প্রপালশল পর্যায় থেকে পৃথক হওয়ার কারণে ইঞ্জিনিয়াররা সফলভাবে ট্রান্সলুনার ইনজেকশন সম্পন্ন করে। ফলে চাঁদের কক্ষপথে তা চক্রকারে ঘোরার পথ তৈরি করতে পারে। মহাকাশযানটি চাঁদে যাওয়ার পথে ১৮ মিনিট ধরে আলোকজ্জ্বল দেখা গিয়েছে। ওরিয়ন তার সহয়াক থ্রাস্টারগুলিকে নিরাপদ দূরত্ব সরানোর জন্য এই ট্রান্স লুনার ইনজেকশন বার্ন করানো হয়।
ট্রান্স-লুনার ইনজেকশনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন ক্রায়োজনির প্রপালশন পর্যায়টি ওরিয়নের পৃথিবীর কক্ষপথের সর্বনি্ম বিন্দু বাড়াতে ২০ সেকেন্ডের জন্য একটা ফায়ারও করেছিল। চাঁদের দিকে দী্র্ঘ যাত্রা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে মিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা প্রদর্শন করে পেরিজি রাইজ ম্যানুভার সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আর্টেমিস ওয়ানের উৎক্ষেপণের সময় সেকেন্ড ১৬০ কিলোমিটার গতি ছিল। ওরিয়ন ক্যাপস্যুলটি উপরে রাখা হয়েছিল। ফ্লাইটের দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে চাঁদের দিকে বেরিয়ে আসে।তিন সপ্তাহ পর মেক-ওর-ব্রেক শেকডাউন ফ্লাইটের সময় সবকিছু ঠিক থাকলে ক্রু ক্যাপস্যুলটি চাঁদের চারপাশে একটি প্রশস্থ কক্ষপথে চালিত হবে এবং তারপরে ডিসেম্বরে প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্প্ল্যাশডাউন করে পৃথিবীতে ফিরে আসবে।
নাসা এই মিশনটির নামকরণ করে অ্যাপোলোর পৌরাণিক যমজ বোনের নামে। অ্যাপোলোর পৌরাণিক বোনের নাম আর্টেমিস। তাই এই মিশনের নামও রাখা হয়েছে আর্টেমিস। ২০২৪ সালে পরবর্তী ফ্লাইটে চারজন মহাকাশচারীকে চাঁদের কক্ষপথে পাঠানো হবে। আর ২০২৫ সালে মানুষকে চাঁদে নামানোর পরিকল্পনা করা হবে।
প্রায় আড়াইমাস বিলম্বে ওরিয়ন মহাকাশযান নিয়ে আর্টেমিস ওয়ান রকেট বুধবার পাড়ি দেয় চাঁদের উদ্দেশে। তিনবারের প্রচেষ্টায় ইতিহাস তৈরি করতে সফল হয় নাসা। চাঁদে মানুষ পাঠানোর মহড়ায় অবশেষে শুরু হয় আর্টেমিস মিশন। অ্যাপোলো মিশনের অনুরূপ আর্টেমিস মিশনে রকেট ও চন্দ্রযান সমস্ত বাধা কাটিয়ে বুধবার বেলা ১২টা ১৭ মিনিটে উড়ে যায় মহাকাশে। এদিন উৎক্ষপণের প্রায় আট মিনিট পর কোর স্টেজের ইঞ্জিনগুলি কেটে যায়। মূল স্টেজটি রকেট থেকে পৃথক হতে শুরু করে।
তারপর ওরিয়ন মহাকাশযানটি অন্তর্বর্তী ক্রায়োজেনিক প্রপালশন স্টেজ দ্বারা চালিত হয়। তা বিচ্ছিন্ন হয় নাসার ওরিয়ন মহাকাশযান চারটি সৌর অ্যারেও মোতায়েন করে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, এই সৌর অ্যারেগুলি চাঁদের কক্ষপথ ছেড়ে পৃথিবীতে ফিরে যাওার জন্য ওরিয়েনকে শক্তি জোগাবে।
ন্যানো ভুলে যান! মাত্র ২ হাজারেই দেশের সবথেকে সস্তার গাড়ির মালিক হন