নাসার রোবটযান মহাকাশেই ধ্বংস করবে প্রবল বেগে ধেয়ে আসা গ্রহাণুকে, সচক্ষে দেখুন কী হয়
প্রবল গতিতে ধেয়ে আসা একটি গ্রহাণুকে মহাকাশেই ধ্বংস করে দেবে নাসার বিধ্বংসী রোবটযান। মানব সভ্যতার সুরক্ষায় নাসা এই মিশন স্থির করেছে। সোমবার রাতেই মহাকাশে এই ধ্বংসলীলা ঘটাবে নাসা।
প্রবল গতিতে ধেয়ে আসা একটি গ্রহাণুকে মহাকাশেই ধ্বংস করে দেবে নাসার বিধ্বংসী রোবটযান। মানব সভ্যতার সুরক্ষায় নাসা এই মিশন স্থির করেছে। সোমবার রাতেই মহাকাশে এই ধ্বংসলীলা ঘটাবে নাসা। আত্মঘাতী অভিযানে নাসার রোবটযান মহাকাশে সজোরে ধাক্কা মারবে গ্রহাণুকে। এই মহাজাগতিক ঘটনা দেখতে পাবেন আপনিও। জানুন কোথায়, কখন দেখবেন এই ধ্বংসলীলা।
নাসার রোবটযান পৃথিবী থেকে ১ কোটি ১০ লক্ষ মাইল দূরে মহাকাশে বিরাট সংঘাতে লিপ্ত হবে গ্রহাণুর সঙ্গে। নয়া মিশনে গ্রহাণু ধ্বংসকারী রোবটযান পাঠাচ্ছে নাসা। নাসার ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট বা ডার্ট মিশনে গ্রহাণু ধ্বংস করে দেওয়া হবে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার সঙ্গে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এসাও এই মিশনে শামিল হয়েছে।
পৃথিবী অভিমুখে ধেয়ে আসা অনেক গ্রহাণু মানব সভ্যতার পক্ষে ভয়াবহ হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই নাসা ও এসা মিলে যৌথ অভিযানে নেমেছে। প্রায়শই পৃথিবীর কাছ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন গ্রহাণু। তার মধ্যে কিছু গ্রহাণু পৃথিবীর পক্ষে বিপজ্জনক। যেহেতু গ্রহাণু পৃথিবীর ক্ষতি করতে পারে, সেহেতু মহাকাশেই তা ধ্বংস করার পরীক্ষামূলক এই অভিযান চালানো হবে।
নাসার ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট বা ডার্ট ২৪ হাজার কিলোমিটার বেগে ওই গ্রহাণুর দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। সোমবার রাতে অর্থাৎ ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভোররাত ৪টে ৪৪ মিনিটে এই সংঘর্ষ ঘটবে মহাকাশে। নাসা এই ঘটনা লাইভ সম্প্রচার করবে অনলাইনে। ভোর সাড়ে তিনটে থেকে দেখা যাবে এই অভিযানের লাইভ। এই লাইভ কভারেজ দেখা যাবে নাসার টেলিভিশনে। নাসার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও দেখা যাবে এই দৃশ্য। বিশ্ব এই মহাজাগতিক ঘটনার লাইভ স্ট্রিম দেখতে পাবে নাসার ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে। সাড়ে পাঁচটায় এই ব্যাপারে মিডিয়া ব্রিফিং দেবে নাসা।
Tonight @NASA will crash an uncrewed spacecraft into an asteroid. On purpose.
— Bill Nelson (@SenBillNelson) September 26, 2022
Yes, you read that correctly. And no, this is not a movie plot.
The #DARTmission is the world’s first mission to test technology for defending Earth against potential asteroid or comet hazards! pic.twitter.com/XCBtdsgVV0
কখনও কখনও গ্রহাণু এমন সমস্যার সৃষ্টি করে যে, ধ্বংস হয়ে যেতে পারে মানব সভ্যতা। এর আগে গ্রহাণুর পতনে অবলুপ্তি ঘটেছিল ডাইনোসরদের। এবার আবার গ্রহাণু পতনের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় তা মহাকাশেই প্রতিহত করা যায় কি না তার পরীক্ষামূলক নতুন মিশনে নেমেছে নাসা। আর সেই কারণেই এই আত্মঘাতী অভিযান।
এই মিশনে নাসা শুধু আত্মঘাতী রোবট যানই পাঠাচ্ছে না, পাঠাচ্ছে ছোট আকারের একটি উপগ্রহও। তা পাঠানো হচ্ছে ওই সংঘর্ষের ছবি তোলার জন্য। ২৪ ঘণ্টা পর সেটি পৃথিবীতে ফিরে আসবে। ডার্ট মহাকাশযানটির আকার একটি ওয়াশিং মেশিনের প্রায় দ্বিগুণ। বক্স আকৃতির এই মহাকাশযানের সঙ্গে দুটি ১৮ মিটার লম্বা সৌর প্যানেল সংযুক্ত করা হয়েছে।
২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ এয়ার ফোর্স বেস থেকে স্পেসএক্স সংস্থার ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে মহাকাশযানটি যাত্রা শুরু করেছিল। প্রায় ৯ মাস পর এটি পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের মাঝে অবস্থিত ডিডাইমোস গ্রহাণুর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। তবে ৭৪৯ মিটার ব্যাসার্ধের ডিডাইমোসকে প্রদক্ষিণ করা একটি ছোট আকারের গ্রহাণুকে ১৫ হাজার মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে আঘাত করবে ডার্ট মহাকাশযান।