মঙ্গল গ্রহে জলের আকৃতির পাথর আবিষ্কার! একের পর এক কীর্তি গড়ে চলেছে নাসা
মঙ্গল গ্রহে জলের আকৃতির পাথর আবিষ্কার! একের পর এক কীর্তি গড়ে চলেছে নাসা
লাল গ্রহ মঙ্গলে সবুজ বালির দানা আবিষ্কার করেছে নাসার রোভার। এবার মঙ্গলে জলের আকৃতির পাথরও আবিষ্কার করে ফেলল নাসা। মঙ্গলের বুকে এই একের পর এক আবিষ্কারে জ্যোতির্বিজ্ঞানে দিগন্ত উন্মোচিত হতে চলেছে। নাসার রোভার যেভাবে মঙ্গলের অলিতে গলিতে ঘুরে শিলা আবিষ্কার করছে, তাতে জীবনের সন্ধান মিলতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
লাল গ্রহে নদী, সমুদ্র সবই ছিল
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠ একসময় জলে ভরা ছিল। এই শিলাগুলি জল দ্বারা পরিবর্তিত হয়েছে। লাল গ্রহে নদী, সমুদ্র সবই ছিল। এই পাথরই তার প্রমাণ। নাসার রোভার সংগৃহীত নমুনা সংরক্ষণ করছে। এবং নাসার রোভার পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। পারসিভারেন্স রোভার ফিরে আসার আগে জেজেরো ক্রেটারে প্রাচীন হ্রদ ও নদীর খোঁজ করছে।
মঙ্গলের ৪৫ কিলোমিটার প্রশস্ত গর্তে নাসা
নাসার পারসিভারেন্স রোভার জেজেরো ক্রেটারকে ৪৫ কিলোমিটার প্রশস্ত গর্তে পাঠিয়েছে। মঙ্গলের বিষুবরেখার সামান্য উত্তরে অবস্থিত গ্রহের পশ্চিম প্রান্তে তথ্যানুসন্ধান চালাচ্ছে জেজেরো ক্রেটার। মঙ্গলের যে স্থানে ক্রেটার নেমেছিল, তা থেকে প্রায় ২৩০০ মাইল বা ৩৭০০ কিলোমিটার দূরে। সায়েন্স অ্যাডভেন্সেস জার্নালে একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত।
মঙ্গলের বুকে বাষ্পীভবনের দ্বারা তৈরি পাথর
'মঙ্গলের পৃষ্ঠে জলীয়ভাবে পরিবর্তিত আগ্নেয় শিলা' শিরোনামে যে গবেষণাপত্রটি প্রকাশ পেয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগ্নেয় শিলার দুটি ভিন্ন রূপের আবিষ্কার অবাক করেছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। এই শিলাগুলির শূন্যস্থানে সালফেট এবং পারক্লোরেট রয়েছে, যা সম্ভবত মঙ্গলের বুকে বাষ্পীভবনের দ্বারা তৈরি হয়েছিল বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।
পাথরের ছবি-সহ একটি পোস্ট নাসার টুইটারে
নাসা জানিয়েছে, ২০২১ সালে বিজ্ঞানীদের কাছে এগুলি একেবারেই অজানা ছিল। মঙ্গল গ্রহে রোভার জেজেরো ক্র্যাটার পাথর পরীক্ষা শুরু করতেই বেরিয়ে এসেছিল একের পর এক অজানা তথ্য। নাসার পারসিভারেন্সের রোভারের টুইটারের অফিসিয়াল হ্যান্ডেলে পাথরের ছবি-সহ একটি পোস্ট করা হয়েছে। পোস্টারে ক্যাপশন লেখা হয়েছিল, আমরা জেজেরো ক্রেটারে পুরনো নদী ব-দ্বীপ দেখতে পাচ্ছি, গর্তে প্রচুর আগ্নেয়শিলা ছিল। আমরা আশা করেছিলাম সেখানে পাললিক শিলা থাকবে।
মঙ্গলের রহস্যময় গহ্বরে হ্রদের খোঁজ
মঙ্গলের রহস্যময় গহ্বরে প্রবেশ করে নাসার পারসিভারেন্স রোভার নিত্যদিন নতুন নতুন রহস্যময় বস্তু উদ্ধার করছে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মঙ্গলের ওই গহ্বরের মধ্যে শুকিয়ে যাওয়া হ্রদে পৌঁছে যাবে জেজেরো ক্র্যাটার। নাসার রোবট যান এক কথায় মঙ্গলের বুকে অসাধ্য সাধন করে চলেছে। তার ফলে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার হয়েই চলেছে।
মঙ্গল আর শুধু লাল গ্রহ নয়! মঙ্গলে সবুজের সন্ধান দিল নাসার রোভার, কী সেটা