চাঁদে জলের সন্ধানে স্পেস-এক্স, লুনার ফ্ল্যাশলাইট মিশনে জাপানি ল্যান্ডার পাঠাচ্ছে নাসা
চাঁদে জলের সন্ধানে স্পেস-এক্স, লুনার ফ্ল্যাশলাইট মিশনে জাপানি ল্যান্ডার পাঠাচ্ছে নাসা
আর্টেমিস মিশনে মানুষ পাঠানোর মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে নাসা। একইসঙ্গে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা চাঁদে জলের সন্ধানও শুরু করে দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে নাসা এবার নামছে লুনার ফ্ল্যাশলাইট মিশনে। জাপান পরিচালিত হাকুটো আর মিশনের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে নাসা শুরু করছে লুনার ফ্ল্যাশলাইট মিশন। খুব শীঘ্রই নতুন মহাকাশযান উৎক্ষেপণে ল্যান্ডার নামাবে মার্কিন ও জাপানি মহাকাশ সংস্থা।
লুনার ফ্ল্যাশলাইট মিশন ও জাপানের বেসরকারি স্পেস টেক কোম্পানির দ্বারা ডিজাইন করা স্পেসএক্স মহাকাশযান ল্যান্ডার সহ উড়ে যাবে চাঁদের উদ্দেশে। চাঁদের স্পেসএক্স পাড়ির লাইভ দেখা যাবে। স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট উভয় পেলোড বহনকারী ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এদিনই উড়ে যাওয়ার কথা।
এলেন মাস্ক-মালিকানাধীন বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাটি তার ইউটিউব চ্যানেল লঞ্চের লাইভ স্ট্রিম করবে। স্পেসএক্সের এম-ওয়ান মিশনে থাকা লুনার স্যাটেলাইট হল একটি ছোটো উপগ্রহ যা একটি ব্রিফকেসের আকারের। এই উৎক্ষেপণের পর স্যাটেলাইটটি তিন মাস মহাকাশে যাত্রা করবে। এটি চাঁদে অনেক দূর নিয়ে যাবে। চাঁদে পৌঁছনোর পর এটি একটি বিজ্ঞান-সমাবেশকারী চন্দ্র কক্ষপক্ষে বসতি স্থাপনের আগে ধীরে ধীরে পৃথিবী ও সূর্যের মাধ্যাকর্ষণে ফিরে আসবে।
একবার এটি চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছলে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমে যাবে, যেখানে এটি অন্ধকার গর্তগুলিতে আলো ফেলতে লেজার ব্যবহার করবে। চাঁদের এই অঞ্চলে বিলিয়ন বছর ধরে সূর্যের আলো দেখেনি। পুরো অন্ধকারে ডুবে ছিল এই এলাকা। এখানে চাঁদের রেগোলিথ (মাটি)-তে বরফ আকারে জল বিদ্যমান। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখনও বুঝতে পারেননি যে, এই গর্তগুলি সব বরফে আবৃত।
হাকুতো আর মিশন ১ চন্দ্র ল্যান্ডারটি জাপানি মহাকাশে প্রযুক্তি সংস্থা আইস্পেস দ্বারা নির্মিত এবং এটি চাঁদে অবতরণকারী প্রথম ব্যক্তিগত নেতৃত্বাধীন জাপানি মিশন হবে। এই ল্যান্ডারটি আইস্পেসের চন্দ্র অন্বেষণ হাকুতো আর-এর অংশ, যার অর্থ জাপানি ভাষায় সাদা খরগোশ। চাঁদের মাটিতে তা জল অন্বেষণ করবে। তার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুকেই।
স্টার্ট-আপ বলছে, এটি চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ সুবিধা গ্রহণ করে জ্বালানি খরচ কমিয়ে মিশনটি পরিচালনা করতে পারে। তবে এটি মিশনের একটি খারাপ দিক বলে বর্ণনা করা হয়। ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকে অ্যাপালো মিশন দেখিয়েছিল মিশনটি কয়েক দিনের জায়গায় চাঁদে পৌঁছতে পাঁচ মাস সময় নেবে। আধুনিক প্রযুক্তি মেনে মিশন পরিচালনার উপরই জোর দেওয়ার কথা বলা হয়।