মহাকাশে প্রকাশিত নাসার জল উপগ্রহ, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় নতুন দিগন্ত
মহাকাশে প্রকাশিত নাসার জল উপগ্রহ, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় নতুন দিগন্ত
নাসার সর্বশেষ জল উপগ্রহ পৌঁছে গিয়েছে মহাকাশে। নাসা জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় নতুন দিগন্ত তৈরি করে ফেলল এবার। এবার মহাকাশ থেকে এই এসডব্লুওটি স্যাটেলাইট বিজ্ঞানীদের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হবে।
এবার মহাকাশ থেকে পৃথিবীর জলাশয় পর্যবেক্ষণ করা যাবে। সেজন্য নাসার ওই জল উপগ্রহ তার অ্যান্টেনা উন্মোচন করছে। সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে উৎক্ষেপণের পর নাসার সারফেস ওয়াটার অ্যান্ড ওশান টপোগ্রাফি সংক্ষেপে এসডব্লুওটি স্যাটেলাইট মহাকাশযানকে শক্তি দেয়, এমন সৌর প্যানেল অ্যারে সফলভাবে স্থাপিত হয়েছে।
সম্প্রতি মহাকাশে ওই স্যাটেলাইট তার বড় মাস্তুল ও অ্যান্টেনা প্যানেলগুলি উন্মোচন করেছে। উন্নত রাডার স্যাটেলাইট আমাদের গ্রহের জলাশয়গুলি নিয়ে পর্যবেক্ষণ দিতে সম্ভবপর হবে বিজ্ঞানীদের। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি সম্পর্কে নতুন এক ধারণা দিতে সক্ষম হবেন বিজ্ঞানীরা।
স্যাটেলাইটের দুটি অ্যান্টেনা সফলভাবে চার দিনের ব্যবধানে মোতায়েন করা হয়েছে। এবং অ্যান্টেনাগুলিতে ফোকাস করা দুটি ক্যামেরা মহাকাশযান থেকে মোতায়েন রাখা হয়েছে। ক্যামেরাগুলি সম্পূর্ণরূপে স্থাপন করা অ্যান্টেনাগুলিকে ক্যাপচার করতে পারেনি। তবে দলটি টেলিমেট্রি ডেটা দিয়ে তা নিশ্চিত করেছে।
দুটি অ্যান্টেনা মাস্তুলের উভয়প্রান্তে প্রায় ১০ মিটার দূরে অবস্থিত। এগুলি আমাদের গ্রহের জলাশয়ে জলের উচ্চতার সুনির্দিষ্ট পরিমাপ ক্যাপচার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যন্ত্রটি ২০ কিলোমিটার বিস্তৃত স্রোত এবং সমুদ্রের বৈশিষ্ট্যগুলি শনাক্ত করতে সক্ষম হবে। এটি ৬২ হাজার ৫০০ বর্গমিটার থেকে বড় হ্রদ এবং ১০০ মিটারেরও বেশি চওড়া নদীগুলি থেকে ডেটা সংগ্রহ করতে সক্ষম।
ইন্টারফেরোমিটার আমাদের গ্রহের জলের পৃষ্ঠ থেকে রাডার ডাল বাউন্স করে এটি করতে সক্ষম। এটি উভয় অ্যান্টানেরা সংকেত গ্রহণ করে এবং উপগ্রহের উভয় পাশে ৫০ কিলোমিটার প্রশস্ত একটি অঞ্চল বরাবর ডেটা সংগ্রহ করে। এসডব্সুওটি-এর তথ্য বিজ্ঞানীদের সবথেকে জরুরি জলবায়ু পরিবর্তনের কিছু প্রশ্নের সমাধান করতে সাহায্য করবে।
এখানে উল্লেখ্য, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ওই স্পেস-এক্স রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর। এই স্পেস-এক্স একটি মার্কিন-ফরাসি উপগ্রহ বহন করে নিয়ে যায় মহাকাশে। পৃথিবীর পৃষ্ঠে জলের সার্ভে করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে নাসার তরফে। এই ঘটনাকে জলবায়ু পরিবর্তনের উপর নতুন আলোকপাত বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
এটি ফ্যালকন নাইন রকেট নাসা চুক্তির অধীনে বিলিওনেয়ার ইলন মাস্কের বাণিজ্যিক লঞ্চ কোম্পানির মালিকানাধীন। লস এঞ্জেলেস থেকে প্রায় ১৭০ মাইল বা প্রায় ২৭৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভ্যানডেনবার্গ ইউএস স্পেস ফোর্স বেস থেকে ওই রকেট উৎক্ষেপণ হয়।