বৃহস্পতির চাঁদের অত্যাশ্চর্য ছবি প্রকাশ নাসার, যেন বরফে ঢাকা নতুন বিশ্ব
বৃহস্পতির চাঁদের অত্যাশ্চর্য ছবি প্রকাশ করল নাসা। নাসার জুনো মহাকাশযান ফের কামাল দেখাল। ইউরোপা হল সৌরজতরে ষষ্ঠ বৃহত্তম চাঁদ।
বৃহস্পতির চাঁদের অত্যাশ্চর্য ছবি প্রকাশ করল নাসা। নাসার জুনো মহাকাশযান ফের কামাল দেখাল। ইউরোপা হল সৌরজতরে ষষ্ঠ বৃহত্তম চাঁদ। ইউরোপা পৃথিবীর চাঁদের থেকে সামান্য ছোট। বৃহস্পতি গ্রহ পৃথিবীর সবথেকে কাছে আসায় নাসার জুনো মহাকাশ যান একের পর এক ছবি তুলেছে উপগ্রহ ইউরোপার। সেই ছবি চমকে দেওয়ার মতো।
সম্প্রতি নাসা বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপার যে ছবি শেয়ার করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ওই চাঁদ বরফে আচ্ছাদিত হয়ে রয়েছে। জুমনোর স্টেলার রেফারেন্স ইউনিট ছবিটি ২৯ ডিসেম্বর ফ্লাইবাইয়ের সময় ক্যামেরাবন্দি করেছিল। তখন জুনো ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩৫২ কিলোমিটার উপরে ছিল। ২২ বছরের বেশি সময় ধরে নাসার জুনো ক্যাম ইউরোপার সবথেকে কাছে সক্ষম হয়েছিল। এর আগে নাসার গ্যালিলিও ভূপৃষ্ঠের ২১৮ মাইল বা ৩৫১ কিলোমিটারের মধ্যে এসেছিল।
নাসা জানিয়েছে, ইউরোপা সৌর জগতের ষষ্ঠ বৃহত্তম চাঁদ। আমাদের চাঁদের থেকে ছোটো। বিজ্ঞানীরা মনে করেন লবণাক্ত মহাসাগর রয়েছে এই উপগ্রহের খোলের নীচে। ইউরোপার ওই বরফের নীচে কোনও জীবন রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জ্যোতিবিজ্ঞানীদের দ্বারা।
সেপ্টেম্বরের শেষে বৃহস্পতি যখন পৃথিবীর সবথেকে কাছে এসেছিল, তখন নাসার প্রকৌশলীরা তাঁদের তৈরি জুনো ক্যাম বা জুনো মহাকাশযানের মাধ্যমে বৃহস্পতির কক্ষপথে থেকে ছবি তুলেছিল। তার মধ্যে তাক লাগিয়ে দেওয়া ছবি অবশ্যই বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপার। সেই ছবি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দিল নাসার জুনো ক্যাম।
২৯ সেপ্টেম্বরের পরে নাসার জুনো ক্যাম থেকে বেশ কিছু ডাটা আসতে শুরু করে। সেখানে রংবেরংয়ের ছবি পায় নাসা। নাসা সেইসব ছিবিতে বরফের বিশ্বের নানা রং প্রকাশ করে। তার মধ্যে নাসার ইউরোপার ভূখণ্ডের এবড়োখেবড়ো ছবি প্রকাশ করেছ, সেখানে গর্ত ও খাদ রয়েছে। অসংখ্য উজ্জ্বল এবং অন্ধকার পর্বতমালা রয়েছে।
২০২২-এর সেপ্টেম্বর ৫৯ বছর পর বৃহস্পতি পৃথিবীর সবথেক কাছে আসে। এই দিনটির অপেক্ষায় ছিল নাসা। নাসা তাদের জুনো মহাকাশযান ব্যবহার করে বৃহস্পতির বহু ছবি তোলে। নাসা জুনো মহাকাশযানের প্রধান তদন্তকারী স্কট বোল্টন বলেন, ২০১৩ সালে আমাদের ফ্লাইবাই অফ আর্থ দিয়ে শুরু করে আজ পর্যন্ত বহু চিত্র পেয়েছি। এখন নতুন আবিষ্কারের জন্য আমাদের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপা থেকে সম্প্রতি যে চিত্রগুলি পাওয়া গিয়েছে, সেখানে বরফের উপরে এবং নীচে উভয় ক্ষেত্রে কী লুকিয়ে থাকতে পারে তা বিশদ জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।