আর্টেমিস মিশন ভেঙে দিল অ্যাপোলো ১৩-র রেকর্ড, চাঁদের সবথেকে দূরে পৌঁছল নাসা
আর্টেমিস মিশন ভেঙে দিল অ্যাপোলো ১৩-র রেকর্ড, চাঁদের সবথেকে দূরে পৌঁছল নাসা
আর্টেমিস মিশন ভেঙে দিল অ্যাপোলো ১৩-র রেকর্ড। ৫২ বছরের রেকর্ড ভেঙে নাসার চন্দ্রযান ওরিয়ন পৌঁছল চাঁদের সবথেকে দূরবর্তী স্থানে। ১৯৭০ সালে চাঁদের বুকে যে দূরত্বে উপগ্রহ সেট করেছিল, এবার সেই দূরত্ব অতিক্রম করে ওরিয়ন মহাকাশযান নয়া রেকর্ড স্থাপন করল।
এতদিন অ্যাপোলোর স্থাপন করা স্যাটেলাইট স্থাপন হয়েছিল পৃথিবী থেকে ৪ লক্ষ ১৭১ কিলোমিটার দূরে। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে পৃথিবী থেকে চাঁদে ৪ লক্ষ ৩২ হাজার ২১০ কিলোমিটার দূরত্বে পৌঁছে গেল চন্দ্রযান। অর্থাৎ চাঁদের বুকে আরও ৩২ হাজার ৩৯ কিলোমিটার বেশি অতিক্রম করল ওরিয়ন।
শুধু তাই নয় আর্টেমিস মিশন নাসার মহাকাশযান ওরিয়ন দূরবর্তী বিপরীতমুখী কক্ষপথে তার যাত্রা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। চাঁদের বাইরের পৃষ্ঠে হাজার হাজার মাইল দূরে তার বৃহত্তর মিশন জারি রেখেছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মহাকাশযানটি সারা দিন পৃথিবী এব চাঁদের ছবিও ধারণ করেছে, যার মধ্যে চাঁদের পৃথিবী গ্রহণও দেখা যাচ্ছে।
নাসার প্রশাসন বিল নেলসন জানিয়েছেন, আর্টেমিস ওয়ান যে সাফল্য অর্জন করছে, তা অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। ইতিহাস তৈরির একটি সিরিজ তৈরি করছে। এই মিশনটি শুরুতে বাধার মুখ পড়লেও শুরুর পর থেকে তা মসৃণভাবে চলছে। যে পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আমরা এগোচ্ছি, তা এখন পর্যন্ত সফল। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী ওরিয়ন পৃথিবী থেকে ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৫৭ মাইল দূরে আর চাঁদ থেকে ৪৩ হাজার ১৩৮ মাইল দূরে ছিল। প্রতি ঘণ্টায় ওরিয়নের বেগ ছিল ১৬৭৯ মাইল।
নাসা ওরিয়ন মহাকাশযানকে বিশেষভাবে তৈরি করেছিল আর্টেমিস মিশনের জন্য। এই মিশন আদতে চাঁদে মানুষ নিয়ে যাওয়ার মহড়া। তাই এই মিশনে কোনও ফাঁক রাখতে চায়নি নাসা। নাসা আর্টেমিস মিশন সফল হতে সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে। তার জন্য বিলম্ব করা হয়েছে, কিন্তু কোনও ভুল যেন না থাকে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে সর্বাগ্রে। তারপর তা চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রত্যেকটি মিশন সফল।
চাঁদের মহাকাশযান ওরিয়ন ১১ ডিসেম্বর প্রশান্ত মহাসাগরে স্প্ল্যাশডাউন করবে। তার আগে পৃথিবীতে তার প্রত্যাবর্তনের পথে ওরিয়নকে একটি সুনির্দিষ্টভাবে সময়মতো চন্দ্র ফ্লাইবাই বার্ন করবে। আর মহাকাশচারীরা যাতে গভীর মহাকাশ সময় কাটাতে পারে এবং শ্বাস নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সিস্টেমগুলিকে সফলভাবে ক্রিয়া করাতে পারে, তার সফল পরীক্ষা করবে এই মিশনে।