১৬০ হাজার আলোকবর্ষ দূরে সন্ধান নতুন নক্ষত্র জগতের, ধরা পড়ল নাসার টেলিস্কোপে
১৬০ হাজার আলোকবর্ষ দূরে সন্ধান নতুন নক্ষত্র জগতের, ধরা পড়ল নাসার টেলিস্কোপে
মাত্র ১৬০ হাজার আলোকবর্ষ দূরে এক মহাজাগতিক বস্তুর সন্ধান পেয়েছে নাসা। নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপ সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছে। সম্প্রতি তা শেয়ার করা হয়েছে নাসার ইনস্টাগ্রাম পেজে। সেই শ্বাসরুদ্ধকর ছবিতে রয়েছে অস্বাভাবিক তারার দলের দ্বৈত দৃশ্য। নাসা সেই গ্লোবুলার ক্লাস্টারের ছবি শেয়ার করে দেখিয়েছে মহাবিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে সূর্যের মতো হাজার হাজার উজ্জ্বল তারা।
নাসা তার হাবল টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া চমকপ্রদ ছবি শেয়ার করে জানিয়েছে, মহাজাগতিক বস্তুটি মাত্র ১ লক্ষ ৬০ হাজার আলোকবর্য দূরে অবস্থিত। ওই মহাজাগতিক বস্তুগুলি থেকে নির্গত আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অধ্যয়র করতে বিভিন্ন ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছিল। নীল নেবুলোসিটি-সহ চিত্রটিতে দৃশ্যমান আলোর সঙ্গে কিছু ইনফ্রারেড আলোও রয়েছে, যা খালি চোখে শনাক্ত করা যায়।
নাসা জানিয়েছে, লাল নেবুলোসিটি-সহ চিত্রটি অনেক এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। যেমন সূর্যের আলো দীর্ঘ আলোকবর্ষজুড়ে ছড়িয়ে থাকে। অতি বেগুনি থেকে ইনফ্রারেড বর্ণালীর শুরু পর্যন্ত বিস্তৃত পরিসরে তা ছড়িয়ে পয়েছে। অতি বেগুনি পর্যবেক্ষণগুলি সবথেকে উষ্ণতম এবং কনিষ্ঠ নক্ষত্রে থেকে আলো শনাক্ত করার জন্য আদর্শ, যেমনটি উজ্জ্বল তারার ক্ষেত্রে দেখা যায়।
আমেরিকান স্পেস এজন্সি নাসার তরফে আরও জানুানো হয়েছে যে, এই ১০০ মিলিয়ন বছরের পুরনো গেলোবুলার ক্লাস্টারটি মিল্কিওয়ের একটি উপ-গ্যালাক্সি লার্জ ম্যাগেলানিক ক্লাউডে অবস্থিত। গ্লোবুলার ক্লাস্টারগুলি সাধারণত পারস্পরিক মহাকর্ষীয় আকর্ষণ দ্বারা একত্রিত রয়েছে, একটা ভিন্ন নাক্ষত্রিক জগৎ তৈরি করেছে। যার ফলে ঘনবসতিপূর্ণ নক্ষত্রগুলি একটি গোলাকার পরিমণ্ডলের মধ্যে আবদ্ধ রয়েছে। বেশিরভাগ গ্লোবুলার ক্লাস্টারের নক্ষত্রগুলির থেকে এই তারাগুলি বয়সে তরুণ।
জ্যোতির্পদার্থ্যবিদরা বলেন, এই নক্ষত্রগুলির প্রথম প্রজন্মের সৃষ্টি হয়েছিল, তখন তারা আশেপাশের মহাজাগতিক ধূলিকণা ও গ্যাসের মতো পদার্থ নির্গত করে। নতুন তারকা ক্লাস্টারের ঘনত্ব এত বেশি ছিল যে, এই বিষয়টি ক্লাস্টারের মহাকর্ষীয় টান থেকে বেরিয়ে যেতে পারেনি। তার ফলে এগুলি সব কাছাকাছি থেকে যায়। এই গ্লোবুলার ক্লাস্টারটি ঘনস্ব বাড়িয়ে দ্বিতীয় প্রজন্মের তারা তৈরি করতে পারে। হাবল টেলিস্কোপের ডেটা পর্যবেক্ষণ করে জ্যোতির্বজ্ঞানীরা ক্লাস্টারটির তারার গঠন আরও ভালোভাবে বুঝতে সক্ষম হয়।
২০২১ সালে গবেষকরা একটি ব্ল্যাক হোলের উপস্থিত শনাক্ত করে। বিজ্ঞানীরা অনেক উজ্জ্বল নীল তারাও শনাক্ত করে। সেগুলি লাল তারারা থেকে বেশি গরম হয়ে মারা যায়। এছাড়াও ২০০টি রেড জায়ান্ট নক্ষত্র রয়েছে, যাদের হাইড্রোজেন ফুরিয়ে গিয়েছে। তাদের কেন্দ্র থেকে হাইড্রোজেন বেরিয়ে ঈআসায় বাইরের স্তরগুলি প্রসারিত, শীতল ও লাল আভাযুক্ত দেখায় বলে বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেছেন।
প্রতীক্ষার প্রহর গোনা শুরু, নাসার চন্দ্রযানের প্রশান্ত মহাসাগরে প্ল্যাশডাউন আজই, দেখুন লাইভ