আর্টেমিস-থ্রি মিশনে মহাকাশচারীরা চাঁদে হাঁটবেন, স্পেসসুট সরবরাহে অ্যাক্সিওমকে বাছল নাসা
আর্টেমিস-থ্রি মিশনে মহাকাশচারীদের চাঁদে হাঁটানোর পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছে নাসা। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে স্পেসসুট সরবরাহের জন্য অ্যাক্সিওম স্পেসকে বেছেও নেওয়া হয়েছে।
আর্টেমিস-থ্রি মিশনে মহাকাশচারীদের চাঁদে হাঁটানোর পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছে নাসা। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে স্পেসসুট সরবরাহের জন্য অ্যাক্সিওম স্পেসকে বেছেও নেওয়া হয়েছে। ন্যাশানল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসা আর্টেমিস-থ্রি মিশনের জন্য চাঁদে হাঁটার উপযুক্ত পরিষেবা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর।
সে জন্যই নাসা আর্টেমিস-থ্রি মিশনে মহাকাশচারীদের চাঁদে হাঁটার উন্নততর ব্যবস্থা করতে স্পেসসুট সরবরাহে অ্যাক্সিওমকে বেছে নিয়েছে। নাসা এ ব্যাপারে চুক্তিও সেরে ফেলেছে অ্যাক্সওম স্পেসের সঙ্গে। মোট ২২৮.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আর্টেমিস মিশনে স্পেসসুট তৈরির জন্য কোম্পানিটিকে অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
শুধু স্পেসসুট সরবরাহ করেই ক্ষান্ত থাকবে না অ্যাক্সিওম স্পেস। তারা সাপোর্টিং সিস্টেম ডেভেলপও করবে। আর্টেমিস- থ্রি চন্দ্র মিশনে সরঞ্জামের ব্যবহারের ব্যাপারেও তাঁরা তদারকি করবে। হিউস্টনের এই সংস্থাটি স্পেসসুট, মহাকাশ অভিযানে সহায়তা, সরঞ্জাম তৈরির নকশা, উন্নততর ব্যবস্থা ও উৎপাদনের বিষয়গুলি দেখে।
নাসা এই ঐতিহাসির মিশনে বাণিজ্যিক শিল্পের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে গর্বিত। নাসা চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চন্দ্রপৃষ্ঠে স্থায়ী জায়গা করে দিতে। নাসার এক্সট্রাভেহিকুলার অ্যাক্টিভিটি এবং হিউম্যান সারফেস মোবিলিটি প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক লারা কার্নি জানিয়েছেন, আমাদের মিশন এগিয়ে চলেছে। শীঘ্রই নাসা ফের চাঁদের পৃষ্ঠে নভশ্চর নামাবে। এবং তিনি চাঁদের বুকে হাঁটবেনও। সেইসঙ্গে চাঁদের বুকে স্থায়ী উপস্থিতি তৈরি করবে।
নাসার আর্টেমিস থ্রি মিশনের আগে মহাকাশের মতো পরিবেশে ওই স্যুটগুলি পরীক্ষা করা হবে। তারপর তা আর্টেমিস থ্রি মিশনে ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করা হবে নাসাকে। ওই স্যুট পরে চাঁদের বুকে নামবেন মহাকাশচারীরা। ১৯৭২ সালের পর ফের ২০২৫-এ চন্দ্রপৃষ্ঠে মানুষ নামারো পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
১৯৭২ সালে আ্যাপোলো মিশনের পর এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শেষবার ১৯৭২ সালে চাঁদের নেমেছিলেন মানুষ। আবারও সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর্টেমিস মিশনের অধীনে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা প্রথম মহিলা মহাকাশচারীকে নামার পরিকল্পনা করেছে চাঁদের মাটিতে। এখন সেই লক্ষ্যে প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে গুণে গুণে।
নাসা ইতিমধ্যে আর্টেমিস ওয়ান অভিযানে নেমে পড়েছে। এই মহাকাশযান উৎক্ষেপণে দু'বার ব্যর্থ হয়েছে নাসা। এবার তৃতীয় প্রচেষ্টা শুরুর পরিকল্পনা চলছে। ২৩ কিংবা ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হতে পারে আর্টেমিস মিশনের পথ চলা। আর্টেমিস ওয়ান রকেট চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিতে পারে। এটি একটি আনক্রুড টেস্ট ফ্লাইট। রকেটটি ওরিয়ন ক্রু ক্যাপসুলকে চাঁদের চারপাশে কক্ষপথে নিয়ে যাবে। সেখানে জীববিজ্ঞান পরীক্ষা করা হবে আর্টেমিস মিশনের প্রথম ধাপে।