শুক্র কেন পৃথিবীর ‘দুষ্ট যমজ’, নতুন ভিডিও প্রকাশ করে অজানার খোঁজে নাসার বিজ্ঞানীরা
সদৃশ তবু অনেক আলাদা শুক্র গ্রহ, তার কারণ কী বের করাই উদ্দেশ্য নাসা ও এসার।
শুক্র পৃথিবীর 'যমজ' গ্রহ। উভয় গ্রহের মধ্যে সাদৃ্শ দেখে এই তকমা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এবার একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করে নাসার বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা দিলেন, শুক্র কেন পৃথিবীর 'দুষ্ট যমজ'। জ্যোতর্বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি শুক্র নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে।
শুক্র নিয়ে তেমনই এক পরীক্ষা সাপেক্ষে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে নাসার তরফে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এসার বিজ্ঞানীরা শুক্রে তিনটি নতুন মিশন পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা সূর্যের কাছাকাছি এই গ্রহ সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে চায়।
বিজ্ঞানীরা জানতে চায় পৃথিবীর সদৃশ এই গ্রহটি আসলে কেমন। কোথায় কোথায় এই গ্রহের সঙ্গে মিল রয়েছে পৃথিবীর। কোথায় বা পার্থক্য। মোট কথা কেন শুক্রকে পৃথিবীর যমজ বলা হয়, তা জানতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর সদৃশ তবু অনেক আলাদা শুক্র গ্রহ, তার কারণ কী বের করাই উদ্দেশ্য নাসা ও এসার।
যে ভিডিওটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা প্রকাশ করেছে, তা শুক্র নিয়ে কৌতুহলী করে তুলেছে। এখানে যে গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রভাব যথেষ্ট তা দেখা গিয়েছে ভিডিও-তে। প্রায় ১৪ কিলোমিটার পুরু কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের আবরণ রয়েছে বায়ুমণ্ডলে। এছাড়া সালফিউরিক অ্যাসিড সমৃ্দ্ধ মেঘ রয়েছে। এই গ্রহটি সবথেকে উষ্ণতম গ্রহ সৌরমণ্ডলের। এর তাপমাত্রা এতটাই যে এখানে সীসা গলে যেতে পারে।
নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানান, শুক্রের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৯০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এ থেকে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছেন, পৃথিবী সদৃশ গ্রহ হলেও শুক্র পৃথিবীর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা চরিত্রের।
এই পরিস্থিতিতে আগামী এক দশকে শুক্র গ্রহে অন্তত তিনটি মিশন চলবে। নাসার দ্য ভিঞ্চি যাচ্ছে ভেনাস ইনভেস্টিগেশনে। এটিই প্রথম মহাকাশযান যা শুক্র গ্রহের আকাশে উড়বে। এই মিশনের জন্য টেলি যোগাযোগ হাব হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি গ্রহের মেঘ এবং এর ভূখণ্ড সম্পর্কে ডেটা ক্যাপচার করবে।
আর দ্বিতীয় মিশনটি হল একটি ডিসেন্ট প্রোব। এটি শুক্র ঘন বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে নেমে আসবে। এবং বিপজ্জনক পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় ডেটা সংগ্রহ করবে। ভেরিটাস নামে আরেকটি মিশনও শুক্রে পাড়ি দেবে। ১৯৯০-এর দশকরে পর শুক্র গ্রহ পরিদর্শনকারী প্রথম নাসর অরবিটার হয়ে উঠবে।
এই ভেরিটাস মহাকাশযানটি শুক্র এবং তার ইতিহাসের একটি বড় ছবি তৈরি করবে। সেইসঙ্গে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে শুক্রের আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে জানতে। এবং শুক্রে কখনও জল ছিল কি না, তাও নির্ধারণ করবে এই মহাকাশযান। তারপর এসার এনভিশন মিশন রয়েছে। নাসার সহয়োগিতায় মিশনটি ২০৩০-এর দশকে শুরু হবে।
এই এনভিশন মিশন জানার চেষ্টা করবে কেন শুক্র পৃথিবীর দুষ্ট যমজ গ্রহ হয়ে উঠল। বিশেষ এটি শুক্রের প্রতিকূল বায়ুমণ্ডল এবং অভ্যন্তরীণ কেন্দ্র নিয়ে পর্যবেক্ষণ চালাবে। শীঘ্রই এই মিশনগুলি আমাদের পৃথিবীর নিকটতম গ্রহে সম্পর্কে বিশদ তথ্য দিতে শুরু করবে।
মধ্যস্থতাকারীকে বিশ্বাস করে ঠকে গিয়েও হল শেষরক্ষা! বিয়ে বাতিল করল কনে