পৃথিবীর ‘যমজ’ নাতিশীতোষ্ণ শুক্রে কীভাবে ঘটেছিল হিট-ডেথ! চাঞ্চল্যকর তথ্য নাসার গবেষণায়
শুক্র গ্রহকে পৃথিবীর যমজ গ্রহ বলা হয়। কারণ শুক্রের আকার ও আকৃতি অনেকটাই পৃথিবীর সঙ্গে মিলে যায়। আর শুক্রের গঠনতন্ত্রও পৃথিবীর মতো। যে শুক্র একটা সময় পৃথিবীর মতোই নাতিশীতোষ্ণ ছিল, সেখানে কী করে হিট-ডেথ ঘটে গেল।
শুক্র গ্রহকে পৃথিবীর যমজ গ্রহ বলা হয়। কারণ শুক্রের আকার ও আকৃতি অনেকটাই পৃথিবীর সঙ্গে মিলে যায়। আর শুক্রের গঠনতন্ত্রও পৃথিবীর মতো। যে শুক্র একটা সময় পৃথিবীর মতোই নাতিশীতোষ্ণ ছিল, সেখানে কী করে হিট-ডেথ ঘটে গেল। নাসার গবেষণায় উঠে এসছে সেই সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য।
নাসার নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শুক্র জীবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল আগ্নেয়গিরির প্রভাবে। তাই একটা সময় পৃথিবীর মতোই বসবাসযোগ্য থাকলেও শুক্র সেই মর্যাদা হারিয়ে ফেলে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একটি সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, হাজার হাজার শতাব্দী ধরে প্রচুর পরিমাণ পদার্থের বিস্ফোরণ শুক্রকে হটহাউসে পরিণত করে।
নাতিশীতোষ্ণ শুক্র তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে গরম হয়ে ওঠে। শুক্র এতটাই অ্যাসিডিক হটহাউসে পরিণত হয় যে সীসাও গলে যায়। আর এই গ্রহ আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের জন্য পরিচিত। পৃথিবীর অনুরূপ এই গ্রহের পুরু ও বিষাক্ত বায়ুমণ্ডল গ্রিন হাউসের প্রভাবে তাপকে আটকে রাখে।
নাসার গডার্ড ইনস্টিটিউট ফল স্পেস স্টাডিজ এবং গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ড. মাইকেল জে ওয়ে বলেন, পৃথিবী ও শুক্র গ্রহে বৃহৎ আগ্নেয় প্রদেশের রেকর্ড বোঝার মাধ্যমে নির্ধারণ করা সম্ভব হয় যে, এই ঘটনাগুলিই শুক্রের বর্তমান অবস্থার কারণ। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভূপৃষ্ঠে ১ লক্ষ কিউবিক মাইলেরও বেশি গলিত শিলা জমা করেছে।
একটি আগ্নেয় প্রদেশের গঠন একটি গ্রহের জলবায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। গ্রন হাউসের প্রভাবে তাপমাত্রা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। শুক্রের ক্ষেত্রে এই প্রদেশগুলির মধ্যে অনেকগুলি গ্রিন হাউস রয়েছে। গ্যাসগুলি বায়ুমণ্ডলকে প্রভাবিত করে এবং বায়ুমণ্ডলে তাপকে আটকে রাখতে সম্ভবপর হয়। এর ফলে মহাসাগরগুলিও বাষ্পীভূত হতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়া অবিরত চলতেই থাকে। এইভাবেই তাপ বাড়তে বাড়তে নাতিশীতোষ্ণ শুক্রকে হিট-ডেথের দিকে নিয়ে যায়।
পৃথিবী ৫৪০ মিলিয়ন বছর আগে প্রাণের উৎপত্তির পর থেকে অন্তত পাঁচবার গণবিলুপ্তির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলি প্রতিটি গ্রহের ৫০ শতাংশ প্রাণীর জীবনকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। মহাকাশ সংস্থার গবেষণায় বলা হয়েছে, খুব বেশি অগ্ন্যুৎপাতের কারণে শুক্র গ্রহ থেকে প্রাণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। বিজ্ঞানীরা এখন জানার চেষ্টা করছে কেন এমন ঘটল। এর জন্য নাসা নেবেল গ্যাস, কেমিস্ট্রি ও ইমেজিংয়ের ডিম অ্যাটমোস্ফিয়ার ভেনাস ইনভেস্টিগেশনে পাঠাবে। তার লক্ষ্য হবে শুক্রের উৎপত্তি, ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা বিস্তারিতভাবে অধ্যয়ন করা।