চিনের নতুন ৩ চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা, চাঁদের মাটিতে স্ফটিকের সন্ধানে চ্যালেঞ্জ নাসাকে
চিনের নতুন ৩ চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা, চাঁদের মাটিতে স্ফটিকের সন্ধানে চ্যালেঞ্জ নাসাকে
চন্দ্রাভিযানে নাসাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল চিন। নাসা যখন তাদের আর্টেমিস মিশন নিয়ে বারবার ধাক্কা খাচ্ছে, তখন আরও চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা করল চিন। চিন চন্দ্রাভিযানে চাঁদ থেকে খনিজ আনার পরই ফের নতুন ভাবনা শুরু করে দিয়েছে, এবার তারা চাইছে আরও চন্দ্রাভিযান করে চাঁদে ঘাঁটি গাড়তে।
চাঁদের মাটিতে খনিজের সন্ধানের পর
নাসা সম্প্রতি আর্টেমিস-১ মিশনে ধাক্কা খেয়েছে। তাঁরা আর্টেমিস-১ রকেট পাঠাতে গিয়ে দু-বার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। তিন নম্বর প্রচেষ্টা হবে এ মাসেই। তারপর আর্টেমিস-৩ মিশনে তারা চাঁদের মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। চিন সেখানে চাঁদের মাটিতে মহাকাশ যান নামাতে সফল হয়েছে। চাঁদের মাটিতে খনিজের সন্ধান পেয়েছে।
নাসাকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলবে চিন!
চিনের ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সম্প্রতি চাঁদের কক্ষপথে পাড়ি দেওয়ার অনুমোদন পেয়েছে। আগামী ১০ বছরে চাঁদে তিনটি মানবহীন মিশন চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। মহাকাশ অনুসন্ধানের নতুন যুগে মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসাকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলতে চাইছে চিন।
চিনের চাং’ই-৫ মিশনে চাঁদ থেকে আনা স্ফটিক
চিনের চাং'ই-৫ মিশনে চাঁদ থেকে আনা নমুনা থেকে খনিজ আবিষ্কার হয়েছে। তাকে চেঞ্জসাইট-ওয়াই নামে এক ধরনের বর্ণহীন স্বচ্ছ স্ফটিক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ওই স্ফটিক হিলায়াম-থ্রি ধারণ করতে সক্ষম। এবং তাকে একটি আইসোটোপ বা ভবিষ্যতের শক্তির উৎস হিসেবে অনুমান করা হচ্ছে। তা জানতে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন গবেষকরা।
মহাকাশ নিয়ে চিনের নতুন নতুন পরিকল্পনা
চিন সম্প্রতি মহাকাশ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালাচ্ছে। নতুন নতুন পরিকল্পনার কথা ভাবছে। সম্প্রতি চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছে, নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি করেছে। মঙ্গল গ্রহে অভিযান শুরু করেছে। নাসার সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে পড়তে চলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো চিনও নানা নমুনা থেকে নিত্যনতুন তথ্য পেতে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
চিনকে টেক্কা দিতে চাঁদের নাসার মানব অভিযান
মার্কিন যুক্তরাষ্র্দ তাদের আর্টমিস মিশন দিয়ে চিনকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাইছে। চাইছে চিনের মহাকাশ গবেষণার থেকে শতযোজন এগিয়ে থাকতে। তাই ৫০ বছর পর চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে নাসা বোঝাতে চাইছে, তাদের কাছে মহাকাশ গবেষণায় চিন চুনোপুঁটি। সম্প্রতি নাসার প্রশাসক বিল নেলসন মহাকাশ প্রযুক্তি চুরির অভিযোগ এনেছেন চিনের বিরুদ্ধে।
নাসার মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে টার্গেট চিনের
২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল চিনের চন্দ্র অন্বেষণ কর্মসূচি। তিন বছর পর, তারা প্রথম মহাকাশযান চালু করেছিল। চ্যাং-ই মিশনে তারা সম্প্রতি সফলও হয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে লক্ষ্য করে তাঁরা এগিয়েছে। চাঁদের ওই অংশ জল থাকতে পারে বলে মনে করছে সমস্ত মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। নাসাও টার্গেট করেছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে।