পৃথিবীতে জন্মে মঙ্গলে মৃত্যুর সৌভাগ্যলাভ! চিরনিদ্রার দেশে ১৩০০ নাসার ভূমিকম্পের সাক্ষী
পৃথিবীতে জন্মে মঙ্গলে মৃত্যুর সৌভাগ্যলাভ! চিরনিদ্রার দেশে ১৩০০ নাসার ভূমিকম্পের সাক্ষী
নাসার ইনসাইট রোভার মঙ্গল গ্রহে ১৩০০টিরও বেশি ভূমিকম্পের তথ্য সংগ্রহ করেছে। ২০১৮ থেকে মাত্র চার বছরের মধ্যে মঙ্গলে ভূমিকম্পের সাক্ষী থেকেছে ইনসাইট রোভার। তার পাঠানো তথ্য থেকেই সম্প্রতি নাসার বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন পৃথিবীর থেকে বেশি আয়রন রয়েছে মঙ্গলের মাটিতে।
ইনসাইট রোভার চিরনিদ্রায় শায়িত হবে মঙ্গলে
সেই ইনসাইট রোভারের কার্যক্রম এবার শেষ হতে চলেছে। মঙ্গলের বুকে চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে পড়ছে নাসার ইনসাইট রোভার। ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রোভার ২০১৮ সালে ভূত্বকের উপর কম্পন শনাক্ত করতে মঙ্গল গ্রহে নেমেছিল। চার বছর পরে ল্যান্ডারের টুইটার হ্যান্ডেল পোস্ট করা হয়েছে, শীঘ্রই ইনসাইট রোভার চিরনিদ্রায় শায়িত হবে মঙ্গলে।
|
এটিই হতে পারে আমার পাঠানো শেষ বার্তা
সুদূর মঙ্গল থেকে বার্তায় নাসার ইসাইট ল্যান্ডার বলেছে, সেই দিন এসে গিয়েছে, আমার এবার নীরব হওয়ার পালা। আমি এবার নীরব হব। মাস দুয়েক আগে একইভাবে বার্তা পাঠিয়েছিল ইনসাইট ল্যান্ডার। আবারও বার্তা পাঠিয়ে তা জানিয়ে দিল আমরা শক্তি ফুরিয়ে এসেছে। এটিই হতে পারে আমার পাঠানো শেষ বার্তা।
আমরা সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ
মঙ্গল গ্রহে ইনসাইট ল্যান্ডার শ্বাস নিতে পারছে না অনেকদিন ধরেই। শ্বাস নিতে গিয়ে হাঁপাচ্ছে ইনসাইট ল্যান্ডার। তাই লাল গ্রহে যে তার আয়ু শেষ হতে চলেছে, তা আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিল ইনসাইট ল্যান্ডার। এবার নাসা টুইট পোস্টে ইনসাইট রোভার জানিয়ে দিল, আমরা সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
চার বছরেরও বেশি সময় মঙ্গল অভিযানে
নাসার মার্স ইনসাইট ল্যান্ডার মহাকাশ যানটি দীর্ঘ সময় মঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মঙ্গল থেকে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে তথ্য পাঠিয়ে যাচ্ছে। মহাকাশযানটি ২ নভেম্বর বলেছিল, আমি যে সব তথ্য পেয়েছি তা নিশ্চয় বিজ্ঞানীদের সহায়তা করেছে। আমি যা কিছু সংগ্রহ করেছি, তা-ই প্রেরণ করেছি।
পৃথিবীতে জন্মে মঙ্গলে মৃত্যুর সৌভাগ্যলাভ
ধুলোয় আচ্ছাদিত নাসার মহাকাশযানটি সৌরচালিত ব্যাটারিটি রিচার্জ করতে অক্ষম হচ্ছে। তাই চার বছরের মিশন শেষ হতে চলেছে। এরপর ২৬ নভেম্বর রোভার টুইট করে জানায়, দুটি গ্রহে বসবাস করার জন্য আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান। চার বছর আগে আমি পৃথিবী ছেড়ে মঙ্গলে এসেছিলাম। আবিষ্কারের এই যাত্রায় পৃথিবীতে জন্মে মঙ্গলে মৃত্যুর সৌভাগ্যলাভ করছি আমি।
ইনসাইটের বার্তায় মন খারাপ বিজ্ঞানীদের
ইনসাইট রোভারের আবেগঘন বার্তার পর মন খারাপ নাসার বিজ্ঞানীদের। তাঁরা অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ইসাইট রোভারের সৌর প্যানেল থেকে ধূলিকণা অপসারণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরা। এর ফলে মহাকাশযানের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।
সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ হচ্ছে পথ চলা
নাসা যতক্ষণ সম্ভব তাঁর শক্তি সঞ্চয় করে চালানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ হচ্ছে ইনসাইট ল্যান্ডারের পথ চলা। ২০১৮ সালের নভেম্বরে ল্যান্ডারটি মঙ্গলের মাটি ছুঁয়েছিল। এতদিনে ১৩০০-রও বেশি মার্স-কম্পন শনাক্ত করেছে। ওই কম্পনগুলি ৫ মাত্রারও বেশি ছিল। ইনসাইট টিম এই বছরের শুরুর দিকে লক্ষ্য করে ল্যান্ডার দ্রুত শক্তি হ্রাস করছে। ফলে যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে।
ছবি সৌ:নাসা
এলিয়েনরা কি পৃথিবীতে এসে গিয়েছে? পেন্টাগনের ডিপ ডাইভ রিপোর্ট নিয়ে চাঞ্চল্য