চাঁদ ও মঙ্গলে ছুটবে বুলেট ট্রেন! কীভাবে আন্তঃগ্রহ ভ্রমণের পরিকল্পনা করছে জাপান
চাঁদ ও মঙ্গলে ছুটবে বুলেট ট্রেন! কীভাবে আন্তঃগ্রহ ভ্রমণের পরিকল্পনা করছে জাপান
চাঁদ ও মঙ্গলে কি বুলেট ট্রেন চলতে পারে! অসম্ভব হলেও জাপানের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা চাঁদ ও মঙ্গলে আন্তঃগ্রহ ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব? জাপানের প্রযুক্তিকে বিশ্বাস করলে মনে হতেই পারে এও সম্ভব। মানুষ অদূর ভবিষ্যতে একটি ট্রেনে গ্রহ থেকে গ্রহে ভ্রমণ করতে পারে।
জাপান বিশেষ কিছু একটা ভাবছে
মঙ্গল ও চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে, কিন্তু বুলেট ট্রেন চালাবে, তেমন কোনও পরিকল্পনার কথা এখন সেভাবে জানা যায়নি। তবে জাপান বিশেষ কিছু একটা ভাবছে। সম্প্রতি জাপান একটি কাঁচের বাসস্থান তৈরির পরিকল্পনা করেছে। তার ভিতরে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ, বায়ুমণ্ডল থাকবে।
পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদ-মঙ্গলের সংযোগে ক্যাপসুল
জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাদের পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে মহাকাশ ভ্রমণের এক নতুন সংজ্ঞা তৈরি করতে পারে। কাজিমা কনস্ট্রাকশনের সহযোগিতায় এই কাজ করছেন জাপানের গবেষকরা। এমন একটি ক্যাপসুল তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে, যাতে চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে পৃথিবীর সংযোগসাধন হতে পারে।
আন্তঃগ্রহ পরিবহণকে বলা হচ্ছে হেক্সাট্র্যাক
জাপানি গবেষকদের এই আন্তঃগ্রহ পরিবহণকে বলা হচ্ছে হেক্সাট্র্যাক। হেক্সাট্র্যাক কম মাধ্যাকর্ষণ সম্বলিত। বর্ধিত এক্সপোজারের প্রভাব কমাতে দূর-দূরান্তের ব্রমণের সময়ে ওয়ান-জি মাধ্যাকর্ষণ বজায় রাখবে। ট্রেনগুলিতে ষড়ভূজ আকৃতির ক্যাপসুল থাকবে, যাকে হেক্সা ক্যাপসুলও বলা হয়। জাপানি গবেষকদের প্রস্তাব অনুযায়ী ১৫ মিটার ব্যাসার্ধের একটি মিনি ক্যাপসুল পৃথিবী ও চাঁদকে সংযুক্ত করবে। চাঁদ আর মঙ্গল গ্রহের সংযোগের জন্য ৩০ মিটার ব্যাসার্ধের ক্যাপসুল প্রয়োজন হবে।
ইলেক্ট্রোম্যাগটনেটিক প্রযুক্ত ব্যবহার স্যাটেলাইট সিস্টেমে
এখন ক্যাপসুলটি জার্মানি ও চিনের ম্যাগলেভ ট্রেন দ্বারা ব্যবহৃত ইলেক্ট্রোম্যাগটনেটিক প্রযুক্ত ব্যবহার করবে। চাঁদের স্টেশনটি একটি গেটওয়ে স্যাটেলাইট ব্যবহার করবে এবং তা লুনার স্টেশন হিসেবে পরিচিত হবে। মঙ্গল গ্রহের স্টেশনটিকে বলা হবে মঙ্গল স্টেশন। এটি মঙ্গলের উপগ্রহ ফোবসে অবস্থিত হবে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-এর উত্তরসূরি তৈরির লক্ষ্য
হিউম্যান স্পেসোলজি সেন্টারের মতে, আর্থ স্টেশনটিকে টেরা স্টেশন বলা হবে এবং এটি হবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-এর উত্তরসূরি। স্পেস ট্রেন, যা স্পেস এক্সপ্রেস নামে পরিচিত, তা চলবে স্ট্যান্ডার্ড গেজ ট্র্যাকে। কিয়োটো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা একটি বাসস্থান তৈরির পরিকল্পনায় পৃথিবীতে এমন পরিষেবা পুনরায় তৈরির করার পরিকল্পনা করেছে।
জাপানি গবেষকদের লক্ষ্য কৃত্রিম মাধ্যাকর্ষণ6
জাপানের গবেষকদের লক্ষ্য কৃত্রিম মাধ্যাকর্ষণ তৈরি করা। সবুজ এলাকা এবং জলাশয়-সহ একটি শ্যাম্পেন বাঁশির আকারের সংকী্র্ণ জীবন্ত কাঠামো তৈরি করা। এই কাঠামাটি 'দ্য গ্লাস' নামে পরিচিত হবে। নিম্ন মাধ্যাকর্ষণ একটি প্রধান উদ্বেগের কারণ। গবেষকরা এই উদ্বেগ রোধ করার পরিকল্পনা করছেন। কৃত্রিম মাধ্যাকর্ষণ তৈরি করে পৃথিবীর পরিবেশের সমতুল্য করার পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা।
মঙ্গলে চলছে প্রবল ধুলোর ঝড়, ল্যান্ড করা হেলিকপ্টারের ছবি পোস্ট করল নাসা