ডার্ট মিশনে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষে বিরল আভার দর্শন! ছবিতে মাত জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের
ডার্ট মিশনে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষে বিরল আভার দর্শন! ছবিতে মাত জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের
সম্প্রতি নাসা ডার্ট মিশনে গিয়েছিল। পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা এক গ্রহাণুকে বিনাশ করে দিয়েছিল মহাকাশেই। কী ঘটেছিল মহাজাগতিক সেই সংঘর্ষের সময়? নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সৌজন্যে দর্শন মিলেছিল এক বিরল আভার। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
বিরল আভার দর্শনে মাত করে দিয়েছে জেমল ওয়েব
পৃথিবী থেকে এক রোবটযান যখন ডিমারফোসে আঘাত করে তারপর কী ঘটে তা জানার জন্য বিশেষ একটি রকেটও পাঠিয়েছিল নাসা। সেই রকেট ছবি তোলার জন্য পাঠানো হয়েছিল। পাঠানো হয়েছিল নমুনা সংগ্রহ করার জন্য। সেই নমুনা সংগ্রহের পর তা নিয়ে গবেষণা চলছে। কিন্তু এরই মধ্যেই জেমস ওয়েব যে বিরল আভার দর্শন করিয়েছে, তা মাত করে দিয়েছে বিশ্বকে।
ডার্ট মিশনে নাসা গিয়েছিল একটি প্রযুক্তি পরীক্ষা করতে
জেমস ওয়েব যে এই মুহূর্তে মহাকাশে সবথেকে শক্তিশালী মানমন্দির বা ওয়েব টেলিস্কোপ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। হাবল টেলিস্কোপের থেকে প্রশিক্ষণ লাভ করে জেমস ওয়েব আজ মহাকাশকে আরও ভালো করে চিনিয়ে দিচ্ছে। ডার্ট মিশনে নাসা গিয়েছিল একটি প্রযুক্তি পরীক্ষা করতে, তাতে কতটা সফল হল তারা, সেটি নিয়েই চলছে পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা।
ডার্ট মিশনের সাফল্যের পর যে ছবি তুলে ধরেছে জেমস ওয়েব
জেমস ওয়েব ও হাবল ওয়েব উভয় টেলিস্কোপই ইভেন্ট থেকে যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে সিস্টেমের উজ্জ্বলতা তিন গুণ বেড়েছে। আঘাতের পরে আট ঘণ্টা স্থির ছিল সেই উজ্জ্বলতা। নর্দান অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান তদন্তকারী ক্রিশ্টিনা থমাস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ওয়েব মিশনের এই অপারেশন অসাধারণ প্রশংসার দাবি রাখে। এই মিশন সফল হওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি। ডার্ট মিশনের সাফল্যের পর যে ছবি তুলে ধরেছে জেমস ওয়েব, তা থেকে অনেক পর্যবেক্ষণ উঠে আসবে।
নাসা একটি অ্যানিমেশন প্রকাশ করে দেখিয়েছে দৃশ্য
নাসা একটি অ্যানিমেশন প্রকাশ করেছে, যে অ্যানিমেশনে দেখায় একটি কমপ্যাক্ট কোর থেকে আসা উপাদানের প্লুমগুলি, যা দূর থেকে লক্ষ্যণীয়। অ্যানিমেশনে উজ্জ্বলতর একটি এলাকাও দৃশ্যমান। ওয়েব টেলিস্কোপ মোট ৫ ঘণ্টার বেশি প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেছে। মোট ১০টি ছবি ধারণ করেছে। ইভেন্টটি ক্যাপচার করার জন্য, ওয়েবের জন্য সেট করা মূল গতিসীমার তিনগুণ বেশি দ্রুত চলা গ্রহাণুগুলি ট্র্যাক করার একটি পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছিল।
হাবল টেলিস্কোপে যে সব পর্যবেক্ষণে
শুধু জেমস নয়, হাবলও বেশ কিছু পর্যবেক্ষণে সফল হয়েছিল। হাবল টেলিস্কোপ ইতিমধ্যেই প্রভাবের আগে গ্রহাণু এবং মহাকাশযানকে ট্র্যাক করেছিল এবং চাঁদের পোস্টের প্রভাবকেও অনুসরণ করেছিল। মহাকাশযানটি ডিমারফোসের সঙ্গে সংঘর্ষের ঠিক আগে এবং পরে মোট ৪৫টি ছবি তুলেছিল। হাবলের ওয়াইড ফিল্ড ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত চিত্রগুলিতে গ্রহাণুর শরীর থেকে প্রসারিত রশ্মির আভাস দেখতে পাওয়া যায়। এই ধরনের রশ্মি দেখে কৌতুহল জেগেছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
ছবি সৌ:নাসা
মঙ্গল গ্রহে বইছে জলের স্রোত, নতুন গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের