নাসার চন্দ্রযান পৃথিবীতে প্ল্যাশ ডাউন করবে প্রশান্ত মহাসাগরে, তা কখন কীভাবে দেখবেন
নাসার চন্দ্রযান পৃথিবীতে প্ল্যাশ ডাউন করবে প্রশান্ত মহাসাগরে, তা কখন কীভাবে দেখবেন
নাসার চন্দ্রযান ওরিয়ন আর্টেমিশ ওয়ান মিশন সেরে পৃথিবীতে ফিরছে। ২৫ দিনের সফরে সফল অভিযানের পর রবিবার তা প্ল্যাশ ডাউন করবে প্রশান্ত মহাসাগরে। ওরিয়নের এই ফেরা নিয়ে উৎকণ্ঠা, উদ্দীপনা সবই রয়েছে। তা কীভাবে দেখা যাবে, কখন দেখা যাবে, তা জানতে উৎসুক মহাকাশপ্রেমী মানুষজন। নাসা তা দেখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে।
সব কিছু ঠিক চললে নাসার আর্টেমিস ওয়ান মিশন সফল করে চন্দ্রযান ওরিয়ন পৃথিবীতে পৌঁছবে ১১ ডিসেম্বর অর্থাৎ রবিবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে। চাঁদ থেকে সোজা প্রশান্ত মহাসাগের প্যা অশ ডাউন করার কথা ওরিয়নের। এখন তা কীভাবে দেখা যাবে, তা নিয়েই প্রশ্ন। নাসা ওরিয়নের এই প্ল্যাশডাউন লাইভ দেখানোর তোড়জোড় শুরু করেছে।
আর্টেমিস মিশন ওয়ানে নাসার ওরিয়ন চাঁদ থেকে পৃথিবীতে ফেরার পথে রয়েছে। এদিন প্ল্যাশ ডাউনের প্রস্তুতিও সারা হয়ে গিয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়াডালুপ দ্বীপের কাছে ওরিয়ন আছড়ে পড়বে। সেই দৃশ্য দখা যাবে। তার জন্য ১১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টা থেকে ওরিয়ন মহাকাশযানের প্ল্যাশডাউনের লাভইভ স্ট্রিমিং করবে নাসা।
নাসার অ্যাপে সেই লাইভ স্রিে ম দেখা যাবে। এছাড়া নাসা টিভি এবং নাসার নির্দিষ্ট ইউটিউব লিঙ্কের মাধ্যমে লাইভস্ট্রিম দেখতে পাওয়া যাবে। নাসার ওরিয়নের পৃথিবীতে পুনঃপ্রবেশের ঠিক আগে ক্রু মডিউলটি প্রশান্ত মহাসাগরে স্প্ল্যাশ করবে। মডিউলটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠবে। নাসা এমনভাবে আর্টেমিস ওয়ান পুনঃপ্রবেশের পরিকল্পনা করেছে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে মহাকাশযানের অবশিষ্ট অংশগুলি পৃথিবীর বুকে কোনও ক্ষতি সৃষ্টি না করে।
সার্ভিস মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে ওরিয়নের ক্রু মডিউল একটি বিশেষ কৌশল সম্পাদন করবে, যাতে মহাকাশযানটি সঠিকভাবে নির্দিষ্টস্থানে স্প্ল্যাশ করতে পারে। যে কোনও মানব মহাকাশযানের জন্য এই প্ল্যাশ ডাউন সফল হওয়া জরুরি। নাসার মতে, এই কৌশলটি ভবিষ্যতে আর্টেমিস মিশনকে নিরাপদে পুনঃপ্রবেশ ঘটাবে।
পুনঃপ্রবেশের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল মহাকাশযানটিকে ৫২৩ কিলোমিটার গতি কমিয়ে দেবে। প্রায় ৮ কিলোমিটার উচ্চতায় তিনটি ছোটো প্যারাসুট একটা কভার তৈরি করবে। কভরাটি আলাদা হওয়ার পর দুটি ড্রগ প্যারাসুট মোতায়েন করা হবে। এগুলি ক্রু মডিউলকে ধীর ও স্থিতিশীল করবে। ২৮০০ মিটার উচ্চতা থেকে মহাকাশযানটি ঘণ্টায় প্রায় ২১০ কিলোমিটার বেগ আছড়ে পড়বে। প্যারাসুটগুলি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৩২ কিলোমিটার গতি কমিয়ে দেবে।