সোশ্যাল মিডিয়ায় ইলন মাস্ককে প্রশ্ন করার সাহস! চাকরি খোয়ালেন টুইটারের প্রযুক্তিবিদ
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইলন মাস্ককে প্রশ্ন করার সাহস! চাকরি খোয়ালেন টুইটারের প্রযুক্তিবিদ
কোনও কর্মচারী তাঁকে প্রশ্ন করুক তা একদম পছন্দ করেন না বিশ্বের সব থেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। তাও আবার সোশ্যাল মিডিয়ায়। টুইটারে সংস্থার এক দক্ষ প্রযুক্তিবিদ ইলন মাস্ককে প্রশ্ন করেছিলেন, আর সেই কারণেই তাঁকে চাকরি হারাতে হল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন খোদ ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, টুইটারে তাঁর সঙ্গে তর্ক করার জন্য প্রযুক্তিবিদ এরিক ফ্রনহোফারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে টুইটারের তিন হাজারের বেশি কর্মী ইলন মাস্ক বরখাস্ত করেছেন। কিন্তু সেই তালিকায় এরিক ফ্রনহোফার ছিলেন না।
ইলন মাস্কের সঙ্গে তর্ক
টুইটারের গতি অত্যন্ত ধীর বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন সংস্থার নতুন মালিক ইলন মাস্ক। এই নিয়ে এরিক ফ্রনহোফার সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। টুইটারে প্রকাশ্যে তিনি ইলন মাস্কের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। রবিবার ইলন মাস্ক টুইট করে বলেন, টুইটারের গতি অত্যন্ত ধীর। তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। পাল্টা টুইট করে এরিক ফ্রনহোফার উত্তর দেন, আমি ছয় বছর অ্যানড্রয়েডের জন্য টুইটারে কাজ করছি। আমি বলতে পারি, আপনি যে মন্তব্য করেছেন, তা ভুল।
তিন ঘণ্টা চলে টুইট যুদ্ধ
টুইট পাল্টা টুইট, এইভাবে কয়েক ঘণ্টা ইলন মাস্কের সঙ্গে তর্ক করেন এরিক ফ্রনহোফার। সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বসমক্ষে টুইটারের প্রযুক্তি নিয়ে ইলন মাস্ক ও এরিক ফ্রনহোফার তর্কে জড়িয়ে পড়েন। রবিবার তর্কের মধ্যেই ইলন মাস্ক এরিক ফ্রনহোফারের কাজ নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, অ্যানড্রয়েডে টুইটার স্লো। তারজন্য আপনি কি করেছে? এরিক ফ্রনহোফারের করুচিপূর্ণ উত্তরে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন ইলন মাস্ক। প্রায় তিন ঘণ্টা চলে এই তর্ক।
ইলন মাস্ককে সমর্থন নেটিজেনদের
ইলন মাস্কের সঙ্গে এরিক ফ্রনহোফারের তর্কে নেটিজেনরাও অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁরা ইলন মাস্ককে সমর্থন করেন। অনেকে ইলন মাস্কের সঙ্গে কুরুচিকর ব্যবহারের জন্য এরিক ফ্রনহোফারের সমালোচনা করেন। নেটিজেনরা বলেন, ইলন মাস্কের কথা তাঁর ভুল মনে হতেই পারে। কিন্তু এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তর্ক না করে ব্যক্তিগত ভাবে জিজ্ঞাসা করা উচিত ছিল।
টুইটারের প্রযুক্তিবিদকে বরখাস্তের ঘোষণা
তর্কের পরেই ইলন মাস্ক টুইটারে জানান, এরিক ফ্রনহোফারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরিক ফ্রনহোফার বলেন, এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও নোটিশ তিনি পাননি। তবে তাঁর ল্যাপটপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার জন্য তিনি অফিসের ইমেল ব্যবহার করতে পারছেন না। বিশ্বে টুইটারের ৩,০০০ বেশী কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়ছে। কিন্তু সেই বরখাস্তের তালিকায় তিনি ছিলেন না। তবে রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ইলন মাস্কের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে চাকরি খোয়ালেন এরিক ফ্রনহোফার।
আদিবাসী ভোট নিয়ে সম্মুখ সমরে বিজেপি বনাম তৃণমূল, কার কী পরিকল্পনা পঞ্চায়েতের আগে