নাসাকে টেক্কা দিল চিন! আন্তর্জাতিক মহাকাশ পুরস্কার জিতল তাইওয়ান-১ মঙ্গল অভিযান
নাসাকে টেক্কা দিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ পুরস্কার জিতে নিল চিন! চিনের তিয়ানওয়েন-১ মঙ্গল অভিযানকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ পুরষ্কারে ভূষিত করা হল।
নাসাকে টেক্কা দিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ পুরস্কার জিতে নিল চিন! চিনের তিয়ানওয়েন-১ মঙ্গল অভিযানকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ পুরষ্কারে ভূষিত করা হল। এই মিশনে চিনের রোবটযান ইতিহাস রচনা করে। চিনের তিয়ানওয়েন-১ মিশন প্রথমবার মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করে, অবতরণের পর মঙ্গলের বুকে ঘোরাফেরা করে।
চিনের তিয়ানওয়েন-১ মিশনকে সেরার পুরস্কার
এরপরই চিনের এই তিয়ানওয়েন-১ মিশনকে বেছে নেওয়া হয় অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত করার জন্য। এই তিয়ানওয়েন ১ মহাকাশ যানটি ২০২০ সালের ২৩ জুলাই ওয়েনচাং মহাকাশ বন্দর থেকে যাত্রা করে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করে। মিশনের সৌরচালিত ঝুরং রোভারটি সেই বছরের মে মাসে সফলভাবে লাল গ্রহের ইউটোপিয়া প্ল্যানেটিয়া সমভূমিতে অবতরণ করে।
মিশনটিতে ইতিহাস তৈরি করেন মহাকাশচারীরা
মিশনটিতে ইতিহাস তৈরি করে প্রথমবারের মতো সম্মিলিত গ্রহকে প্রদক্ষিণ করতে সম্ভবপর হয়েছে। প্যারিসে ৭৩তম আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী কংগ্রেস চলাকালীন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল ফেডারেশনের বার্ষিক মহাকাশ কৃতিত্ব পুরষ্কার অর্জন করে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট প্যাস্কেল ইহরেনফ্রেন্ড এই বছরের আইএসিতে একটি বক্তৃতায় মহাকাশযানের উন্নয়নের নেপথ্যে থাকা দলটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
লালগ্রহের ম্যাপিং এবং মঙ্গলে মহাসাগরের প্রমাণ
মহাকাশযানটি তৈরি করে চায়না অ্যাকাডেমি অফ স্পেস টেকনোলজি। চায়না অ্যাকাডেমি অফ স্পেস টেকনোলজির ভাইস প্রেসিডেন্ট জিলিয়ান ওয়াং মিশনের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করেন। বেশ কিছু প্রধান বৈজ্ঞানিক এই সাফল্যের রূপরেখা প্রদান করেন। এই মিশন লালগ্রহের বৈশ্বিক ম্যাপিং এবং মঙ্গলে মহাসাগরের প্রমাণ দেয়।
মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে বর্ধিত বিজ্ঞান মিশন
ওয়াং এই মিশনে মঙ্গলগহের কক্ষপথে সেলফি এবং অরবিটান সন্নিবেশ ভিডিও-সহ মিশনের ভিজ্যুয়াল হাইলাইটগুলি তুলে ধরেন। তিয়ানওয়েন ১ মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে তার বর্ধিত বিজ্ঞান মিশন চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মঙ্গলের পৃষ্ঠের নীচে ঝুরং রোভারটি বর্তমানে মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধে শীত দেখার জন্য হাইবারনেট করছে।
মঙ্গল গ্রহের সাফল্য অনুসরণে চিন
২৪০ গ্রাম ওজনের সৌর চালিত রোভারটি বর্তমানে জেগে উঠবে এবং ডিসেম্বরে বা জানুয়ারিতে কার্যক্রম পুনরায় শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চিনও মঙ্গল গ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি উচ্চাকাঙ্খী মিশন নিয়ে তার মঙ্গল গ্রহের সাফল্য অনুসরণ করতে চাইছে। এই তিয়ানওয়েন ১ মিশনের পর চিনের বৃহত্তম রকেট ২০২৮ সাল নাগাদ লাল গ্রহে অবতরণ করবে এবং অরবিটার মহাকাশযান পাঠাবে।
শেষ তিন বছরে কারা সেরার পুরস্কারে ভূষিত
এখানে উল্লেখ্য জাপানের হায়াবুসা টু মিষনটি গ্রহাণুর নমুনা ফেরত অভিযানে নেমে ২০২১ সালে এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ পুরস্কার জিতেছে। এর আগে চিন চাঁদের দূরবর্তী পাশে চ্যাং-ই ৪ রোবটযান নামিয়ে ২০২০ সালে এই পুরস্কার জিতে নিয়েছিল। এবার আবার চিনের তিয়ানওয়েন ১ জিতল আন্তর্জাতিক মহাকাশ পুরস্কার।