চিনের সবথেকে শক্তিশালী রকেটে বিধ্বস্ত হবে পৃথিবী! কিন্তু আছড়ে পড়বে কোথায়
চিনের সবথেকে শক্তিশালী রকেটে বিধ্বস্ত হবে পৃথিবী! কিন্তু আছড়ে পড়বে কোথায়
চিনের সবথেকে শক্তিশালী রকেট আছড়ে পড়বে পৃথিবীতে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে চিনের রকেটে পৃথিবী বিধ্বস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলেও, তা কোথায় আছড়ে পড়বে, সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও আভাস দিতে পারেনি। একটি চিনা কার্গো মহাকাশযান বায়ুমণ্ডলে পুড়ে যাওয়ার পর রকেটের অবশিষ্টাংশ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার ঘটনা প্রত্যাশিতই।
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে চিনের রকেট
লং মার্চ রকেটের অবশিষ্টাংশ চিনের মহাকাশ স্টেশন তেকে বায়ুমণ্ডল ভেদ করে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এখনও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি যে, পৃথিবীর বুকে কোথায় আছড়ে পড়বে ওই রকেট। বিশেষজ্ঞরা রকেট বুস্টারের অনিয়ন্ত্রিত অবতরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যা ওয়েনটিয়ান মডিউলকে তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশনের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
চিনের রকেট পৃথিবীতে ফিরে আসছে আবার
পৃথিবীর উপরে রকেটের ধাক্কা সামলানোর ক্ষেত্রে চিনের ট্রাক রেকর্ড অতীতে প্রশংসনীয় ছিল না। রবিবার রকেট উড়ানের পর ১০০ ফুট লম্বা ও ২২ টন ওজনবিশিষ্ট ওই রকেট নিম্ম কক্ষপথে পৌঁছেছে। বায়ুমণ্ডলীয় ঘর্ষণ এটিকে নীচের দিকে টেনে নিয়ে গেলে, তা পৃথিবীর দিকে ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ়্রা মনে করছে এ সপ্তাহের শেষেই তা পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারে আবার।
রকেটের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ
সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের জ্যোতির্বিজ্ঞানী জনাথন ম্যাকডোয়েলের পূর্বাভাস, ওই রকেট শনিবার পুনরায় প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু রকেটটি কোথায় আছড়ে পড়চে পারে, তা নিশ্চিত করেননি জনাথন। তবে অন্যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেন, বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে ধেয়ে আসার সময় ওই রকেটের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
কখন আছড়ে পড়তে পারে, দিনক্ষণ স্থির
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যাওয়া সময় রকেটটিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। রকেটটি যথেষ্ট বড়, ফলে অসংখ্য খণ্ড ২০০০ কিলোমিটারের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার সময় ধ্বংস হয়ে যাবে। ফলে পৃথিবীর বুকে পুনঃপ্রবেশ নাও ঘটতে পারে। অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের মতে ৩১ জুলাই সকালে ৫টা ৫৪ মিনিটে তা আছড়ে পড়তে পারে প়ৃথিবীর বুকে।
চিনের রকেটের অতীত রেকর্ড ভয়াবহ
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেন, এই রকেট আছড়ে পড়ার কারণে মানুষ ও সম্পত্তির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। পৃথিবীর পৃষ্ঠের ৭৫ শতাংশ জল, মরুভূমি বা জঙ্গল, ফলে সেখানেও পড়তে পারে রকেট। ২০২০ সালের মে মাসে আরেকটি লং মার্চ আইভোরি কোস্টে আছড়ে পড়েছিল। এর ফলে পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আবার ২০২১ সালে বেজিং লং মার্চ ৫বি রকেটের সঠিক ডি-অরবিট পরিকল্পনা না করার জন্য ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
সূর্য বিস্ফোরিত হয়ে 'সুপার পাওয়ার’ দেবে পৃথিবীকে! জন্ম নেবে ১০ 'সুপার হিরো’