মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকেই ছুটে আসছে চিনা রকেট, কোথায় আঘাত হানবে কেউ জানে না
মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকেই ছুটে আসছে চিনা রকেট, কোথায় আঘাত হানবে কেউ জানে না
পৃথিবী অভিমুখেই ছুটে আসছে চিনা রকেট। তা কোথায় আঘাত হানবে, তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। ২৩ টনেরও বেশি সুবিশাল চিনা রকেট যেখানে পড়বে, সেখানকার জন্যই বড় বিপদ অপেক্ষা করে আছে। চিনের মেংটিয়ান মডিউলটি লং মার্চ ৫বি-কে নিয়ে গিয়েছিল মহাকাশে। মহাকাশ স্টেশনের তৃতীয় মডিউল চালু এবং ডক করার কয়েকদিন পরেই তা পৃথিবীতে ফিরে আসছে।
চিনা রকেট ফিরে আসছে পৃথিবী অভিমুখেই
চিনের মহাকাশ গবেষকরা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কোথায় পড়বে ওই রকেটটি। চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সি উড়ন্ত পরীক্ষাগারের সমাপ্তির পর ফিরে আসছে পৃথিবী অভিমুখেই। এখন দেখার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তা পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়, নাকি পৃথিবীর কিছু অংশে তা প্রবেশ করে বিপর্যয় ঘটায়। গবেষকরা চেষ্টা করছে এই রকেট যাতে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছনোর আগেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
চিন তৃতীয় মডিউলটি নিয়ে কোনও তথ্য দেয়নি
এই চিনা রকেটের জন্য পৃথিবীর একাংশে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। মানুষ তাই আতঙ্কের মঘ্যে রয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে লং মার্চ ৫বি-র প্রথম মডিউল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মাধ্যমে অনিয়ন্ত্রিতভাবে পুনঃপ্রবেশ করেছিল। চিনা মহাকাশ স্টেশনের তিনটি মডিউলের মধ্যে দ্বিতীয়টি ওয়েন্টিয়ানের সঙ্গে রকেটটি মহাকাশে পাঠানোর প্রায় ৬ দিন পরে পুনরায় প্রবেশের ঘটনা ঘটে। চিন তৃতীয় মডিউলটি নিয়ে কোনও তথ্য দেয়নি এখনও।
পশ্চিম এশীয় দেশগুলি চিনকে অভিযুক্ত করছে
বেশিরভাগ রকেটই বায়ুমণ্ডলে পুড়ে যায়। তবে বুস্টার এবং লঞ্চারগুলির অবশিষ্টাংশ মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া-সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশে পাওয়া গিয়েছে। অতীতে পশ্চিম এশীয় দেশগুলি চিনকে অভিযুক্ত করছে এ জন্য। পুনরায় প্রবেশের পথ বা ধ্বংসাবশেষের মূল্যায়ন সম্পর্কে কখনও তথ্য জানায়নি চিন। নাসার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পর তিয়াংগং হবে পৃথিবীর লোয়ার কক্ষপথ। তিয়ান, ওয়েন্টিয়ান ও মেংটিয়ান ল্যাব মডিউলগুলি চিনা মহাকাশ স্টেশনে টি আকৃতির কাঠামো তৈরি করবে।
চিন নাসাকে চ্যালেঞ্জ করে আলাদা মহাকাশ স্টেশন গড়ছে
তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশন হল বেজিংয়ের উচ্চাকাঙ্খী মহাকাশ কর্মসূচির একটি রত্ন, যা মঙ্গল গ্রহ এবং চাঁদে রোবটিক রোভার অবতরণে সফল হয়েছে। এছাড়া মানুষকে কক্ষপথে রাখার জন্য চিনকে বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে মর্যাদা দিয়েছে। আমেরিকা ও রাশিয়ার পর চিন একমাত্র দেশ যাঁরা মহাকাশ বিজ্ঞানে প্রভূত সাফল্য আনতে পেরেছে। সেই কারণেই চিন নাসাকে চ্যালেঞ্জ করে আলাদা মহাকাশ স্টেশন গড়ে তুলতেও সক্ষম হয়েছে। কিন্তু রকেট পৃথিবীতে ফিরে আসার ব্যাপারে চিন কিছু জানাতে ব্যর্থ।