পৃথিবীর মহাদেশগুলো কীভাবে গঠিত হয়েছিল, জানেন? উত্তর লুকিয়ে রয়েছে মহাকাশে
পৃথিবীর মহাদেশগুলো কীভাবে গঠিত হয়েছিল, জানেন? উত্তর লুকিয়ে রয়েছে মহাকাশে
পৃথিবী নিয়ে জানার শেষ নেই। আর পৃথিবীকে জানতে গেলে, পৃথিবীর গঠনতন্ত্র জানতে গেলে আপনাকে উঁকি দিতেই হবে মহাকাশে। সেইমতো পৃথিবীর মহাদেশগুলো কীভাবে গঠিত হয়েযে তা জানতে মহাকাশ বিজ্ঞানে শুরু হপল গবেষণা। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মনে করছেন পৃথিবীর গঠনতন্ত্রের এই ইতিহা লুকিয়ে রয়েছে মহাকাশে!
পৃথিবীর মহাদেশীর বিবর্তন
পৃথিবীকে সাতটি মহাদেশ রয়েছে। রয়েছে মহাসাগর ও অন্যান্য সাগর, নদী, খাল-বিল আরও কত কী! সেইসবই একত্রিল হয়ে গ্রহের ভূমিরূপ তৈরি করেছে। সাতটি মহাদেশ ও পাঁচটি মহাসাগর নিয়ে গঠিত পৃথিবীর স্থলভাগ মাত্র ৩০ শতাংশ আর জলভাগ ৭০ শতাংশ। মহাদেশীর বিবর্তনে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে এই গঠন বলবৎ রয়েছে পৃথিবীর।
পৃথিবীর মহাদেশগুলির সৃষ্টি নিয়ে
সৌরজগতের তিন নম্বর গ্রহ পৃথিবীর ভূগোল নিয়ে একটি নতুন গবেষণা সম্প্রতি সামনে এসেছে। সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহের সৃষ্টি হয়েছিল বিরাট এক সংঘর্ষের জেরে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীর মহাদেশগুলি বিশালাকার উল্কাপিণ্ডের প্রভাবে গঠিত হয়েছিল। এই গ্রহ সৃষ্টির ইতিহাস ৪.৫ বিলিয়ন বছরের পুরনো এবং প্রচলিত। এখন গবেষণা চলছে পৃথিবীর মহাদেশগুলির সৃষ্টি নিয়ে। উল্কার আঘাতে তার সৃষ্টি হয়েছিল বলেই ধারণায় উপনীত হয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
মহাদেশের গঠন প্রথমে কীভাবে হল
সম্প্রতি নেচার জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, পৃথিবীর একমাত্র গ্রহ যেখানে মহাদেশ রয়েছে। সেই মহাদেশ কীভাবে গঠিত হয়েছে, কীভাবে তা বিবর্তিত হয়েছে, তা সুস্পষ্ট নয়। বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত সমুদ্রের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার ফলে ভূ-ত্বক ভাঙছে। মহাদেশের মানচিত্রও পরিবর্তিত হচ্ছে। কিন্তু মহাদেশের গঠন প্রথমে কীভাবে হল, সে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
প্রাচীন উল্কার আঘাতের প্রমাণ
গবেষকরা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় পিলবারা ক্র্যাটন থেকে পাথরে খনিজ জিরকনের ক্ষউদ্র স্পঠিক বিশ্লেষণ করেছেন। এই অঞ্চলে পৃথিবীর সেলা সংরক্ষিত প্রাচীন ভূ-ত্বকের অবশিষ্টাংশ এবং গ্রহের পৃষ্ঠে প্রাচীন উল্কার আঘাতের প্রমাণ রয়েছে। কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জিরকন স্ফটিকগুলিতে অক্সিজেন আইসোটোপের গঠন নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন।
মহাদেশগুলি দৈত্যকার উল্কাপিণ্ডের পতন!
গবেষকরা বলছেন, জিরকন হল পৃথিবীর প্রাচীনতম খনিজ। প্রায় ৪.৪ বিলিয়ন বছর পুরনো এবং মাঝে মাঝে ইউরোনিয়ামের চিহ্ন থাকে। ভূ-পৃষ্ঠের শিলা পর্যবেক্ষণ করে উল্কাপিণ্ডের ভূতাত্ত্বিক প্রভাব জানতে পেরেছে। কীভাবে মহাদেশ তৈরি হয়েছে তাঁর একটা সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়েছে। মহাদেশগুলি দৈত্যকার উল্কাপিণ্ডের পতনের ফল বলে মনে করছেন গবেষকরা। তার সমর্থনে কিছু প্রমাণও মিলেছে।
পৃথিবীর প্রাচীন মহাদেশীয় ভূত্বকের প্রমাণ
পৃথিবীর মহাদেশগুলির গঠন ও চলমান বিবর্তন বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ল্যান্ডমাসগুলি পৃথিবীর বেশিরভাগ জৈববস্তু, সমস্ত প্রাণীকূল এবং গ্রহের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের গঠনের নেপথ্যে রয়েছে। তা আবার ভূমির গঠনের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছি। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, পৃথিবীর প্রাচীন মহাদেশীয় ভূত্বকের অন্যান্য অঞ্চলের ডেটা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার অনুরূপ।