ভিনগ্রহীরা কবে সংকেত পাঠাবে পৃথিবীতে, মহাজাগতিক পরিবর্তনের অপেক্ষায় বিজ্ঞানীরা
ভিনগ্রহীরা কবে সংকেত পাঠাবে পৃথিবীতে, মহাজাগতিক পরিবর্তনের অপেক্ষায় বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনও ভিনগ্রহে কি প্রাণ রয়েছে? সেখানেও কি মানুষের মতো কোনও প্রজাতি আছে? হয়তো তাঁরা মানুষের থেকেও উন্নত! প্রশ্ন এখানেই, আমরা না হয় ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পারিনি, যদি ভিন গ্রহে কোনও উন্নততর প্রাণী থাকে, তাঁরা কেন যোগাযোগ করেনি আমাদের সঙ্গে?
ভিনগ্রহীরা অপেক্ষায় মহাজাগতিক পরিবর্তনের জন্য
পৃথিবী থেকে তো কম চেষ্টা করা হয়নি এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ করার। এলিয়েনদের জন্য বহু সংকেত পাঠানো হয়েছে। সবই ফেল করেছে এখন পর্যন্ত। বিজ্ঞানীরা আবার মনে করছেন, তারা হয়তো অপেক্ষা করছে বিশেষ ক্ষণের জন্য। বিশেষ করে মহাজাগতিক কোনও পরিবর্তনের জন্য।
পৃথিবীর বাইরের কোনও প্রাণ বা সভ্যতা নিয়ে কৌতুহলী
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বাইরের কোনও প্রাণ বা কোনও সভ্যতা নিয়ে কৌতুহলী হয়ে পড়ছে দিনদিন। মানুষ অদূর ভবিষ্যতে আন্তঃগ্রহীয় প্রজাতিতে পরিণত হতে পারে বলে পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। পৃথিবী থেকে পরিচালিত বেশিরভাগ মহাকাশ অনুসন্ধানের মূলে রয়েছে সেই পরিকল্পনা।
পৃথিবীতে সংকেত পাঠানোর জন্য বিশেষ সময়ের অপেক্ষা
আমরা কেন ভিনগ্রহী কোনও প্রজাতির সঙ্গে আজও যোগাযোগ করে উঠতে পারলাম না, সার্চ ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এসইটিআই ইনস্টিটিউটের গবেষকদের কাছে এই বিষয়ক একটি উত্তর রয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে তারা পৃথিবীতে সংকেত পাঠানোর জন্য একটি বিশেষ সময়ের অপেক্ষা করছে।
মহাবিশ্বে সংকেত ছড়িয়ে দেওয়ার মাহেন্দ্রক্ষণ কোনটা
বিজ্ঞানীরা মনে করে, যখন গ্রহের ট্রানজিট হবে অর্থাৎ পৃথিবী যখন সূর্যের সামনে থাকবে, তখন মহাবিশ্বে সংকেত ছড়িয়ে দেওয়ার মাহেন্দ্রক্ষণ। সেই মুহূর্তের অপেক্ষা করে থাকতে হবে আমাদের। আমরা যে সংকেত পাঠিয়েছি, তার প্রেক্ষিতে ভিনগ্রহীরা কোনও পাল্টা সংকেত দিয়েছে কি না, তা জানার জন্য ধৈর্য্য ধরতে হবে আমাদের।
বহির্জাগতিক বিষয়বস্তু থেকে টেকনো সিগনেচার অনুসন্ধান
নতুন একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, পৃথিবীর বাইরে প্রাণের প্রাদুর্ভাব নির্ধারণের একটি ক্রমবর্ধমান উপায় হল বহির্জাগতিক বিষয়বস্তু থেকে টেকনো সিগনেচার অনুসন্ধান করা। এবং আন্তঃনাক্ষত্রিক স্থানে দৃশ্যমান হওয়ার জন্য প্রচুর শক্তি সঞ্চায় করা। গবেষকরা বিশ্বাস করে যে, মহাকাশের এমন কিছু অংশ রয়েছে, যেখানে প্রযুক্তি-স্বাক্ষরগুলি অনুসন্ধান করা সুবিধাজনক।
৩৪ হাজার রেডিও সংকেত শনাক্ত হয়েছিল
গবেষক দল দূরবর্তী ১২টি এক্সোপ্ল্যানেট থেকে রেডিও সিগন্যাল অনুসন্ধান করতে ওয়েস্ট ভার্জনিয়ার রবার্ট সি বাইর্ড গ্রিন ব্যাঙ্ক টেলিস্কোপ ব্যবহার করে। মার্চ ২০১৮-য় টাদের ট্রানজিট পর্যবেক্ষণ করে। ৩৪ হাজার রেডিও সংকেত শনাক্ত করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৯৯.৬ শতাংশ রেডিও সংকেত বাতিল করা হয়েছিল।
দূরবর্তী মহাবিশ্ব থেকে আসা দুটি রে়ডিও সংকেত অপরীক্ষিত
শেষপর্যন্ত তারা দেখতে পান, দুটি রেডিও সংকেতের মধ্যে আদানপ্রদান হচ্ছে না।। সেই দুটি সংকেত সম্ভবত কেপলার ১৩৩২বি এবং কেপলার ৮৪২বি থেকে এসেছিল। এই দুটিই পৃথিবীর থেকে বড় পাথুরে গ্রহ। এই গবেষক দল এখনও দূরবর্তী মহাবিশ্ব থেকে আসা দুটি রে়ডিও সংকেত পরীক্ষা করতে পারেনি।
মঙ্গল মার্গীর শুভ প্রভাবে কোন কোন রাশির ব্যক্তিদের জীবন মঙ্গলময় হয়ে উঠবে, দেখুন