নাসার পুরনো উপগ্রহটি মহাশূন্য থেকে আছড়ে পড়বে! শেষ ৩৮ বছরের মহাকাশ-যাত্রা
নাসার পুরনো উপগ্রহটি মহাশূন্য থেকে আছড়ে পড়বে! শেষ ৩৮ বছরের মহাকাশ-যাত্রা
৩৮ বছরের মহাকাশ-যাত্রা শেষ হতে চলেছে। এবার যে কোনও দিন নাসার পুরনো উপগ্রহটি মহাশূন্য থেকে আছড়ে পড়বে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সপ্তাহান্তেই মহাশূন্যে নিজের অবস্থান থেকে খসে পড়বে নাসার উপগ্রহটি। উল্লেখ্য, এই উপগ্রহটি আগেই অবসর নিয়েছিল তার কাজ থেকে।
মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে নাসার উপগ্রহ
এবার নিজের অবস্থান থেকে সরে আসার সময় হয়ে গিয়েছিল নাসার ৩৮ বছরের পুরো উপগ্রহটি। প্রায় চার দশক ধরে এটি মহাকাশ সংক্রান্ত নানা তথ্য সরবরাহ করেছে। এবার তার কাজ শেষ হয়েছে, শরীরও সায় দিচ্ছে না, তা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে নাসার এই উপগ্রহ।
উপগ্রহর পৃথিবীর কক্ষপথে পুনঃপ্রবেশ
তবে মহাকাশ সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কার উপর পড়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই ধ্বংসপ্রাপ্ত উপগ্রহটির। নাসা জানিয়েছে, ৫৪০০ পাউন্ড বা ২৪৫০ কিলোগ্রাম উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে পুনঃপ্রবেশের সময় পুড়ে যায় সাধারণত। কিছু টুকরো অবশিষ্ট থাকে। সেটুকু কোনও কোনও সময় আঘাত করতে পারে।
রবিবার রাতে তা নেমে আসবে মহাকাশ থেকে
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আশা করছে, রবিবার রাতে তা নেমে আসবে মহাকাশ থেকে। নাসার প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছনোর পর ১৭ ঘণ্টা সময় লাগবে তা নেমে আসতে। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন জানিয়েছে, আফ্রিকা, এসিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলির উপর দিয়ে যাওয়া একটি ট্র্যাক বরাবর সোমবার সকালের মধ্যে নামতে পারে।
১৯৮৪ সালের উপগ্রহ, প্রত্যাশিত কর্মজীবন ছিল দুই বছর
আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট, যা ইআরবিএস নামে পরিচিত স্পেস শাটল চ্যালেঞ্জার ১৯৮৪ সালে চালু হয়েছিল। যদিও এর প্রত্যাশিত কর্মজীবন ছিল দুই বছর, স্যাটেলাটটি ২০০৫ সালে অবসর নেওয়া পর্যন্ত ওজোন এবং অন্যান্য বায়ুমণ্ডলীয় পরিমাপ করতে শুরু করে। তারপরও এতদিন কাজ করে গিয়েছে স্যাটেলাইটি।
মার্কিন মহিলার প্রথম স্পেসওয়াকে এই উপগ্রহ প্রতিস্থাপন
উপগ্রহটি নিয়ে গবেষণায় জানা গিয়েছে কীভাবে পৃথিবী সূর্য থেকে শক্তি শোষণ করে এবং বিকিরণ করে। বর্তমানে এটি সেউ কার্যপ্রণালী ঠিকঠাক করতে পারছে না। মহাকাশে আমেরিকার প্রথম মহিলা নভশ্চর স্যালি রাইড শাটলের রোবট বাহু ব্যবহার করে কক্ষপথে স্যাটেলাইটটি ছেড়ে দেন। সেই একই মিশনে মার্কিন মহিলার প্রথম স্পেসওয়াক ছিল এটি। মহাকাশ বিজ্ঞানী ক্যাথরিন সুলিভান তা জানান সম্প্রতি।
৩৮ বছর কাজ করে ফিরছে উপগ্রহ
উল্লেখযোগ্যভাবে এটি প্রথমবারের মতো দুই মহিলা মহাকাশচারীর একসঙ্গে মহাকাশে উড়েছিল। রাইডারের জন্য দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত মহাকাশ ফ্লাইট ছিল এটি। যিন ২০১২ সালে মারা যান। আর তাদের পাঠানো উপগ্রহ কাজ করছিল এতদিন। মাত্র ২ বছরের মেয়াদে পাঠানো হয়েছিল, তা ৩৮ বছর কাজ করে ফিরছে।
অমিত শাহ পূজারি নাকি মহন্ত, রামমন্দির নিয়ে পাল্টা নিশানা মল্লিকার্জুন খাড়গের