বিশ্বকে রক্ষা করার অস্ত্র পেয়ে গেল নাসা, গ্রহাণুর মোকাবিলায় তৈরি রোবটযান

নাসার শক্তিশালী মহাকাশযান মঙ্গলবার ভোররাতে গ্রহাণুকে আঘাত করে প্রযুক্তি প্রয়োগের পরীক্ষায় সফল হয়েছে।

২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ এয়ার ফোর্স বেস থেকে স্পেসএক্স সংস্থার ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে মহাকাশযানটি যাত্রা শুরু করেছিল। ৯ মাস পর এটি পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের মাঝে অবস্থিত ডিডাইমোস গ্রহাণুতে আঘাত করে। গ্রহাণুকে ১৫ হাজার মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে আঘাত করে ডার্ট মহাকাশযান।

নাসা এই মিশনে আত্মঘাতী রোবটযানই পাঠায়নি, ছোট আকারের একটি উপগ্রহও পাঠানো হয়। উপগ্রহটি পাঠানো হয় গ্রহাণুর সঙ্গে রোবটযানের সংঘর্ষের ছবি তোলার জন্য।

  নাসার ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট বা ডার্ট ২৪ হাজার কিলোমিটার বেগে গ্রহাণুর উপর আছড়ে পড়ে। গ্রহাণুটির কক্ষপথ ১ শতাংশ ঘুরে যায়।

ভবিষ্যতেও নাসা কোনও গ্রহাণু বা এলিয়েন বস্তকে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে আউট করে দিতে পারে। ফলে পৃথিবী ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখ থেকে বেঁচে যেতে পারে। 

 নাসার বিজ্ঞানীদের মহামিশন পৃথিবী ও তাঁর প্রাণীকূলকে অকস্মাৎ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। বর্তমান প্রযুক্তি দিয়ে নাসা পৃথিবীকে বাঁচানোর রাস্তা দেখিয়েছে।

নাসার ডার্ট মিশন মানব জাতির সেই সংশয়ের অবসান ঘটিয়েছে। নাসার রোবটযান মহাকাশে গ্রহাণুর গতিপথ বদলে দিতে সক্ষম হয়েছে।

 এক গ্রহাণুর আঘাতে পুরো প্রাণীকূল ধ্বংসের মুখে চলে যাওয়ার পর সংশয় ছিল কোনওদিন মানব জাতির উপর একইরকম আঘাত নেমে আসতে পারে।

৬৫ মিলিয়ন বছর আগে একটি গ্রহাণুর আঘাতে আলোড়ন তৈরি হয়েছিল পৃথিবীতে। ডাইনোসরদের পুরো প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।