পড়শি যুবকের সঙ্গে জমে উঠেছিল ‘প্রেম’, বিদেশ থেকে স্বামী ফিরতেই পরিণতি ভয়ানক
স্বামী বিদেশে থাকেন কর্মসূত্রে। সেই সুযোগে পড়শি যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল গৃহবধূর। পুজোর সময় স্বামী বাড়ি ফিরতেই বাধল গোল।
স্বামী বিদেশে থাকেন কর্মসূত্রে। সেই সুযোগে পড়শি যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল গৃহবধূর। পুজোর সময় স্বামী বাড়ি ফিরতেই বাধল গোল। আর পড়শি যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইছিলেন না তিনি। কিন্তু ছাড়ার পাত্র নন পড়শি যুবক। শেষমেশ যা কাণ্ড করলেন তিনি, তা শুনলে শিউড়ে উঠতে হয়।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে নদিয়ার তেহট্টে। নদিয়ার তেহট্টের দেবনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল মজুমদার। তিনি কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকেন। স্ত্রী ফুলন মজুমদার দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন নদিয়ার বাড়িতে। এরই মধ্যে স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে পড়শি যুবক স্বপন মণ্ডলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় ফুলনের।
শ্যামলবাবু বাড়ি ফেরার পর স্বপনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন না ফুলন। তাতেই বাধে বিপত্তি। ফুলন সাফ জানিয়ে দেন, সে আর সম্পর্ক রাখতে পারবে না। কিন্তু ফুলনের কথা মানতে চাননি স্বপন। দেখা করার জন্য বারবার ফোন করতে থাকেন। শেষে গ্রামের বাইরে এক নির্জন স্থানে দেখা করতে রাজি হয় ফুলন।
অভিযোগ, সেখানে ফুলনকে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার জন্য জেদাজেদি শুরু করে স্বপন। কিন্তু ফুলন কিছুতেই রাজি হননি। ফুলন রাজি না হতেই স্বপন পকেট থেকে ছুরি বের করে ফুলনকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। ফুলনের চিৎকারে গ্রামের মানুষেরা ছুটে এলে বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় স্বপন।
এরপর স্থানীয়রাই ফুলনকে তেহট্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাঁকে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফুলনের শরীরে প্রায় ৩৫টি সেলাই পড়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বপন। পুলিশ তাঁর খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: ১৫০০ টাকার জন্য কান কাটা গেল পাওনাদারের! পাওনা চাইতেই জুটল অস্ত্রের কোপ ]
এই ঘটনার পিছনে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জটিলতা রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ছুরিকাহত ফুলনের সঙ্গে কথা বলে বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। পুলিশ খতিয়ে দেথছে এই ঘটনার পিছনে অভিযুক্ত ছাড়াও অভিযোগকারিনীর কতটা ভূমিকা রয়েছে।