সাতসকালেই বোমা গুলি! অনুব্রত গড়ে তৃণমূলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে' মৃত যুবক
সাত সকালেই চলল বোমা-গুলি। আর এই বোমা গুলির আঘাতেই মৃত্যু হল ইনসান আলি নামে এক যুবকের। ঘটনাটি বীরভূমের সাঁইথিয়ার। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই সংঘর্ষ।
সাত সকালেই চলল বোমা-গুলি। আর এই বোমা গুলির আঘাতেই মৃত্যু হল ইনসান আলি নামে এক যুবকের। ঘটনাটি বীরভূমের সাঁইথিয়ার কল্যাণপুরের। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই সংঘর্ষ। যদিও এই ঘটনাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানতে নারাজ স্থানীয় তঋণমূল নেতৃত্ব।
সাঁইথিয়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। একদিকে রয়েছে সাধন মুখোপাধ্যায় অন্যদিকে সাবের আলি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকে। অপর একটি সূত্র বলছে এলাকার তাহেরুল ও রাজীব গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ভাইফোঁটার সকালে সেই গোষ্ঠী বিবাদের জেরেই সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। সকাল সাতটা নাগাদ বোমা গুলির লড়াইয়ে হতচকিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এরমধ্যেই এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। যাঁর নাম ইনসান আলি বলে জানা গিয়েছে। তিনি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। তবে তিনি কোন গোষ্ঠীর তা স্পষ্ট নয়। পরিবারের দাবি, সকালে চিনি আনতে গিয়েছিল। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তাহেরুলের নেতৃত্বে এই হামলা চলে বলে দাবি করেছে পরিবার। সোমবার রাত থেকেই গ্রামের বাইরে বোমা-গুলির আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা।
জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে এর আগে একাধিকবার সতর্ক করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দলীয় কোন্দল মেটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাদের কালীঘাটেও ডেকেছিলেন। তাতে যে কোনও কাজ হয়নি এই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার। কোনও সময় নানুর কিংবা কোনও সময় খয়রাশোল একাধিক তৃণমূল নেতার প্রাণ গিয়েছে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে। যদিও তৃণমূলের তরফে এইসব খুনের দায় চাপানো হয়েছে বিরোধীদের ওপরে।