বেহাল পরিকাঠামো, প্রতিবাদ করায় কাঁকসায় বেধড়ক মার যুবককে
বেহাল পরিকাঠামো, প্রতিবাদ করায় কাঁকসায় বেধড়ক মার যুবককে
বর্ষা হলেই হাঁটু জল, বেহাল গ্রামের রাস্তা। হাঁটু সমান জলে হেঁটে, সাইকেল বা মোটরসাইকেলেও নাকাল হতে হয় গ্রামবাসীকে। তাই সপ্তাহের প্রথম দিনেই বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবী জানালে আদিবাসী যুবকদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে চড়াও হন আদিবাসীরাও। দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কাঁকসার গোপালপুর গ্রামে।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম বর্ধমানের গোপালপুর পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রাম থেকে সারেঙ্গা, ভালুকোন্দা যাওয়ার রাস্তা বেহাল। প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার ওই রাস্তার ওপর ৬-৭টি গ্রাম রয়েছে। বর্ষার বৃষ্টিতে রাস্তাটি খানাখন্দে ভর্তি। কোথায় এক হাটু গর্ত হয়ে পড়েছে। কোথাও বা বিডি এসেছে রাস্তার কঙ্কাল। ফলে চরম দুর্ভোগে সারেঙ্গা, ভালুককোঁদা প্রভৃতি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের বাসিন্দাদের।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, 'দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি বেহাল। একাধিকবার প্রশাসনকে রাস্তা সারাইয়ের আবেদন জানালেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই এদিন সব গ্রাম থেকে একজন করে জনকয়েক ছেলে রাস্তা সারাইয়ের দাবী জানাতে পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিল। অভিযোগ, ডেপুটেশন দেওয়ার সময় পঞ্চায়েতের প্রধান, আধিকারিকদের সঙ্গে গ্রামের সংখ্যা নিয়ে চাপানউতোর থেকে বচসা হয়। তারপর আদিবাসী ছেলেদের এলোপাথাড়ি মারধর করে। ৬ জন আহত হয়।
এরপর আদিবাসী গ্রামে খবর পৌঁছাতেই শ'পাঁচেক আদিবাসী লোকজন তির ধনুক, লাঠি, টাঙ্গি নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীদের আটকানো চেষ্টা করে পুলিশ। গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ঘটনায় গুরুতর জখম হন দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স, সেখানে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেটও।
যদিও মারধোরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোপালপুর পঞ্চায়েত প্রধান জয়দীপ মন্ডল। তিনি জানান স্মারকলিপি দিতে এসে তারা ভাঙ্গচুর চালায় ও পঞ্চায়েত সদস্য সহ কর্মীদের মারধোর করে। ঘটনাস্থলে রয়েছে কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকায় রয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গোপালপুর গ্রামের সমস্ত দোকানপাট ।
২৪০ টাকার লটারিতে কোটিপতি হলেন মুর্শিদাবাদের দিনমজুর