Year Ender 2021: বাংলায় প্রধান বিরোধী হিসেবে উত্থান বিজেপির! বছরের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা
Year Ender 2021: বাংলায় প্রধান বিরোধী হিসেবে উত্থান বিজেপির! বছরের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা
গত বছরের শেষ থেকে এই বছরের শুরুর কয়েক মাসে বিজেপির (BJP) ডাক ছিল ইসবার ২০০ পার। কিন্তু বিজেপিকে অনেক দূরেই থেমে যেতে হয়। যদিও জনগণের রায়ে তারা রাজ্যের প্রধান বিরোধীর (main opposition) মর্যাদা পায়। যা ২০২১-এর অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা। কেননা এর আগে গেরুয়া শিবির দেশের পূর্বের এই রাজ্যে এত বড় শক্তি হয়ে উঠতে পারেনি।
ইসবার ২০০ পার বলে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি
২০২১-এর মার্চের শেষ থেকে এপ্রিল মাস জুড়ে আটদফায় ভোট হয়েছিল। কিন্তু বিজেপির প্রচার শুরু হয়ে দিয়েছিল গত বছরেই। ২০২০-র ১৯-এ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় থেকেই অমিত শাহদের স্লোগান ছিল ইসবার ২০০ পার। পরবর্তী সময়ে বিজেপির এই স্লোগানে আকৃষ্ট হয়ে তৃণমূলে অসন্তুষ্ট থাকা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্তের মতো অনেক পরিচিত মুখ বিজেপিতে যোগ দেন। প্রচারের জেরে একটা অংশের নেতা থেকে সাধারণ মানুষের মনে ধারনা তৈরি হয়ে গিয়েছিল বিজেপিই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে। যদিও তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন, বিজেপি ১০০-ই ছুঁতে পারবে না।
৭৭-এ আটকে যায়
যদিও ফল বেরতেই দেখা যায়, প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্যি করে বিজেপি আটকে গিয়েছে ৭৭-এ। তবে বিজেপির বেশিরভাগ সাফল্যই আসে উত্তরবঙ্গ থেকে। তুলনায় দক্ষিণবঙ্গে বিজেপি কম আসন পায়। কলকাতা এবং আশপাশের এলাকায় বিজেপি কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে। দক্ষিণবঙ্গে বিজেপি তুলনামূলক সাফল্য পায় উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মতো জেলায়।
শক্তি হ্রাস পেয়েছে
২০২১-এর
বিধানসভা
নির্বাচনের
ফল
প্রকাশ
হয়
২
মে।
এর
পরবর্তী
সময়ে
বিজেপি
শক্তি
হ্রাস
পেতে
শুরু
করে।
বিজেপিকে
প্রথম
ধাক্কা
দেন
কৃষ্ণনগর
উত্তরে
তাদের
বিধায়ক
মুকুল
রায়।
জুন
মাসে
তিনি
তৃণমূলে
যোগ
দেন।
এর
পরবর্তী
সময়ে
মুকুল
রায়ের
হাত
ধরে
বিজেপিতে
যোগ
দেওয়া
সব্যসাচী
দত্তের
মতো
অনেকেই
ফিরে
যান
তৃণমূলে।
ভোটের
মুখে
বিজেপিতে
যোগ
দেওয়া
রাজীব
বন্দ্যোপাধ্যায়ও
ফেরত
যান
তৃণমূলে।
উত্তরবঙ্গে
এবং
দক্ষিণবঙ্গের
বিজেপির
একাধিক
বিধায়ককে
দেখা
যায়
তৃণমূলের
পতাকা
হাতে
তুলে
নিতে।
এছাড়াও
বিভিন্ন
জায়গায়
হাজার
বাজার
দলীয়
কর্মী
ঘরছাড়া
বলেও
অভিযোগ
করা
হয়
গেরুয়া
শিবিরের
তরফে।
ভোটের
পর
থেকে
অত্যাচারের
অভিযোগের
তদন্ত
শুরু
করে
সিবিআই।
যা
এখনও
জারি
রয়েছে।
বাম-কংগ্রেস শূন্য হয়েছে
একদিকে রাজ্যে যখন বিজেপি প্রধান বিরোধীর মর্যাদা পেয়েছে, ঠিক সেই সময়েই স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে রাজ্য বিধানসভায় শূন্য হয়ে গিয়েছে বাম এবং কংগ্রেস। এই ঘটনা ঐতিহাসিকও বটে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে টানা শাসন করেছে কংগ্রেস। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৭ সাল থেকে টানা ৩৪ বছর শাসন করেছে বামেরা। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের ভোট শতাংশও পৌঁছে যায় একেবারে নিচে। যদিও এই পরিস্থিতির জন্য বাম ও কংগ্রেসের তরফে একই সঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূলের বিভাজনের রাজনীতিকে দায়ী করা হয়েছে।