সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে প্রতারণা, গ্রেফতার জেনাইটিস কর্ণধার শান্তনু ঘোষ

সুদীপ্ত সেন জেরায় ইডি-কে বলেছিলেন, তাঁর ব্যবসা ডুবে যাওয়ার জন্য যে লোকগুলি দায়ী, তাঁদের অন্যতম শান্তনু ঘোষ। তিনি বলেছেন, হুগলী জেলায় গ্লোবাল অটোমোবাইলস কারখানা ছিল। প্রথমে এর মালিক ছিল শান্তনু ঘোষ। শান্তনুবাবু সুদীপ্ত সেনকে বলেছিলেন, এই কারখানায় বছরে ৫৫ হাজার মোটর সাইকেল তৈরি হয়। সিংহভাগই বিদেশে রফতানি হয়। এটি শুনে সুদীপ্তবাবু কারখানাটি কিনতে চান। এ জন্য ২০০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন শান্তনু ঘোষ। শেষ পর্যন্ত ১৪০ কোটি টাকায় রফা হয়। ২২ কোটি টাকা নগদে দেওয়া হয়। বলা হয়, বাকি টাকা তিন বছরে কিস্তিতে মিটিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কারখানাটি নেওয়ার কিছুদিন পরই সুদীপ্তবাবু জানতে পারেন যে, গ্লোবাল অটোমোবাইলসের ওপর বিপুল ব্যাঙ্কঋণ রয়েছে। ফলে আসল মালিক ব্যাঙ্ক-ই। এ ব্যাপারে তাঁকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে কারখানাটি গছিয়ে দেন শান্তনু ঘোষ। পরে দেখা যায়, কারখানাটির বাজার দর ৩০ কোটি টাকা! অথচ সম্পত্তির মিথ্যে হিসাব দেখিয়ে ১৪০ কোটি টাকা দর হেঁকেছিলেন শান্তনু ঘোষ। টিভি চ্যানেল 'চ্যানেল টেন'-এর হাতবদলের ক্ষেত্রেও শান্তনু ঘোষ তাঁকে ঠকিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সুদীপ্তবাবু। প্রথমে এই চ্যানেলের মালিকানা ছিল শান্তনু ঘোষের হাতেই। ২০১০ সালে ৩০ কোটি টাকায় চ্যানেলটি কিনেছিল সারদা গোষ্ঠী। এক্ষেত্রেও তাঁকে অনেক তথ্য দেওয়া হয়নি বলে দাবি সুদীপ্তবাবুর।
মঙ্গলবার শান্তনু ঘোষের গ্রেফতারির পর খুশি সুদীপ্ত সেন। সিবিআই দফতর থেকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "আমি অনেক আগেই শান্তনু ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম, ওঁকে জেরা করলে অনেক কিছু জানা যাবে। কারা কারা সারদা গোষ্ঠীর ভরাডুবিতে দায়ী, সব নাম বলেছি ইডি আর সিবিআই-কে। অন্যান্যদেরও গ্রেফতার করলে আসল সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।"