মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ১০০০ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য বিশ্ব ব্যাঙ্কের! কেন জানেন?
আগেই বিশ্বের দরবারে প্রশংসা পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী সহ একাধিক সামাজিক প্রকল্প। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি টাকার অভাবে চিন্তা বাড়ছে রাজ্য প্রশাসনের। ঠিক সময়ে মানুষের কাছে প্রকল্পগুলির সুবিধা পৌঁছে দেওয়া যাবে
আগেই বিশ্বের দরবারে প্রশংসা পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী সহ একাধিক সামাজিক প্রকল্প। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি টাকার অভাবে চিন্তা বাড়ছে রাজ্য প্রশাসনের। ঠিক সময়ে মানুষের কাছে প্রকল্পগুলির সুবিধা পৌঁছে দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে একাধিকবার চিন্তার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর সেখানে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। পশ্চিমবঙ্গের সুসংহত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলি চালু রাখতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেখানে রাজ্য প্রশাসনের কর্মসূচিতে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা অর্থ সাহায্যের কথা বলা হয়েছে। এই অর্থ সাহায্যে এই প্রকল্পগুলি সুবিধা আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই আর্থিক সাহায্য এক প্রকার বাংলার প্রকল্পগুলিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
বিপুল পরিমান এই আর্থিক সাহায্যে খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই জানা যাচ্ছে। সুত্রের খবর, এই স্বীকৃতিতে মানুষের সঙ্গে কীভাবে ভাগ করে নেওয়া যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য প্রশাসন একপ্রকার ভাবনা শুরু করেছে বলেও জানা যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানা যায়নি।
রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে একের পর এক সামাজিক প্রকল্প ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিলাদের জন্যে কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, যুবকদের জন্যে যুবশ্রী সহ একাধিক সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পান বাংলার মানুষ। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লক্ষ্মীর ভান্ডারে মহিলাদের ৫০০ টাকা করে র্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন জাতি-উপজাতি মহিলাদেরকে হাজার টাকা করে দেওয়া হয় সরকারে তরফে। এছাড়াও রয়েছে একাধিক পেনশনের সুবিধাও। আর এই বিপুল পরিমান খরচ সামলাতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনকে।
বিশেষ করে বাংলার সমস্ত মহিলাকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা দিতে অর্থের জোগানে টান পড়েছে। আর তা বারবার মুখ্যমন্ত্রীর কথাতে উঠে এসেছে।
বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বিধায়ক এবং জনপ্রতিনিধিদের মমতা বলেছেন, এখন কিছু বলবেন না। আগে প্রকল্পগুলি চালাতে দিন। এমনকি রাজ্য প্রশাসনের খরচেও রাশ টানার কথা বারবার জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আর সেখানে দাঁড়িয়ে এই কার্যত বিপুল পরিমান অর্থ সাহায্য করে রাজ্য প্রশাসনের পাশে দাঁড়াল বিশ্ব ব্যাঙ্ক।