মোহভঙ্গ! বিজেপিকে বড় ধাক্কা দিলীপের সভার আগেই, তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার হিড়িক
উপনির্বাচনের ঢাক বাজতে শুরু করে দিয়েছে। একেবারে সাজো সাজে রব। তারমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় জেলায় চলছে আগামীদিনের লক্ষ্যে জনসভার আয়োজন।
উপনির্বাচনের ঢাক বাজতে শুরু করে দিয়েছে। একেবারে সাজো সাজে রব। তারমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় জেলায় চলছে আগামীদিনের লক্ষ্যে জনসভার আয়োজন। শুক্রবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভা করার কথা ছিল হুগলির আরামবাগে। তার আগেই আরামবাগ বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন ধরে গেল। প্রায় আড়াইশো কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
দলবদল বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা
দিলীপ ঘোষ-ভারতী ঘোষদের জনসভার আগে এই দলবদল বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা। কেননা এই জনসভায় বিপুল জনসমাগম ঘাটানোই ছিল বিজেপির লক্ষ্য। কিন্তু ৫০ জন সক্রিয় কর্মী ও দুই শতাধিক সমর্থকের তৃণমূলে ঘরওয়াপসিতে বিজেপির পরিকল্পনায় ধাক্কা খেয়ে গেল।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমলে ফেরার হিড়িক
এই জনসভার আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি স্বপন নন্দী। তৃণমূলের দলীয় অফিসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া হয় তৃণমূলে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই দলবদলকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ।
ভুল বুঝতে পেরে ফের পুরনো দলে
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি স্বপন নন্দী এই দলবদল প্রসঙ্গে বলেন, লোকসভার আগে এঁরা তৃণমূল কংগ্রেসেই ছিলেন। লোকসভা ভোটের পরে এঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা ফের পুরনো দলে ফিরে এলেন কয়েকমাসের মধ্যেই। তাঁরা তৃণমূলে ফিরে্ আসতে চেয়ে আবেদন করেছিল নেতৃত্বের কাছে।
কারা গেল, কারা এল ওসব ভাবে না বিজেপি
বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, এটা শহিদ স্মরণে সভা। এখানে আমরা বিপুল জনসমাগমের আয়োজন করছি। ৪০০ বাস, ৩০০ লরি ভর্তি লোক আনা আমাদের টার্গেট। তাতে কারা গেল, কারা এল ওসবে আমাদের যায় আসে না। আমাদের কাছে কোনও খবরও নেই ওই দলবদলের।