পার্টিটাকেই বিজেপির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে! আজও ভুল করছে নেতৃত্ব, শঙ্কায় চিঠি কর্মীর
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগ হামেশাই করেন, বামেরাই এখন রামে রূপান্তরিত হয়েছে। এবার সেই অভিযোগ আনলেন বামেদের বড় শরিক সিপিএমেরই এক কর্মী।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগ হামেশাই করেন, বামেরাই এখন রামে রূপান্তরিত হয়েছে। এবার সেই অভিযোগ আনলেন বামেদের বড় শরিক সিপিএমেরই এক কর্মী। শুধু অভিযোগ এনেই ক্ষান্ত নন ওই সিপিএম পার্টি কর্মী, তিনি সরাসরি চিঠি লিখে ফেলেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে।
কী লিখেছেন তিনি? কী তাঁর অভিযোগ? ওই সিপিএম পার্টি কর্মীর অভিযোগ, বর্তমানে অতিরিক্ত সহনশীলতা দেখাতে গিয়ে পার্টির ক্ষতি হচ্ছে। দলটাই ভেঙে খান খান হয়ে যাচ্ছে। এইভাবে চললে অদূর ভবিষ্যতে দূরবীন দিয়েও দেখা যাবে না পার্টিটাকে। দলকে প্রাসঙ্গিক করে তোলার জন্য কিছুই করছে না পার্টি নেতৃত্ব।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে পার্টি কর্মীর ওই চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে- সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, এ রাজ্যে গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছে। কিন্তু সেই গণতন্ত্র রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু পার্টির বিবৃতিতে আর তার বাস্তব রূপায়ণে বিস্তর ফারাক রয়ে যাচ্ছে। কীভাবে গণ আন্দোলন দানা বাঁধবে তার কোনও দিশা নেই পার্টির বক্তব্যে। আবার বাংলার রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে পার্টির রণকৌশল কী হবে, জানেন না কোনও পার্টিকর্মী।
এই চিঠিতে আরও লেখা হয়- এখন সংবেদনশীল কথা বলছে দল। কিন্তু এই সংবেদনশীল কথায় কি দলের সক্রিয় কর্মীদের ধরে রাখা যাবে? চিঠিতে আশঙ্কা করা হয়েছে, পার্টি অনেক ভুল করেছে আগে, এখনও সেই ভুল করে চলেছে। অতিরিক্ত সহনশীলতা দেখানোর ভুল করে সরকারের পতনের পথ প্রশস্ত করেছিল সিপিএম। তারপরই কোমর ভেঙেছিলি দলের। এখনও সেই সহনশীলতা দেখাতে গিয়ে বামকর্মীদের বিজেপির হাতে তুলে দিচ্ছে নেতৃত্ব।
এই পার্টি কর্মী তাই সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, এবার একটু ভাবুন। দলকে সঠিক পথ দেখান। তবেই টিকবে দল। তা না হলে সিপিএম নামক পার্টিটা সত্যিই সাইনবোর্ডে পরিণত হবে। এটা শুধু ওই একজন মাত্র পার্টিকর্মীর কথা নয়, রাজ্যের হাজারো সিপিএম কর্মীর প্রাণের কথা। তাই সিপিএম নেতৃত্বের এবার ভাবার সময় এসেছে।