একপ্রকার ঝুঁকি নিয়েই চা বাগান সহ রাজ্যের একাধিক দফতরের কাজ শুরুর অনুমতি সরকারের
ফের কাজ শুরু হচ্ছে চাবাগানগুলিতে। তবে এদিন রাজ্য সরকার স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিল যে ৫০ শতাংশ শ্রমিক দিয়েই এই কাজ করতে হবে এস্টেটগুলিকে। কর্মীদের শিফ্টে ঘুরিয়ে এই কাজ করতে হবে তাদের।
নিয়ম না জেনে হয়রানির শিকার! রেলে বাড়ি ফিরতে স্টেশনে ভিড় পরিযায়ী শ্রমিকদের
শুরু হবে একাধিক দফতরের কাজ
এছাড়া লকডাউনের মাঝে একপ্রকার ঝুঁকি নিয়েই বিভিন্ন দফতরে থমকে থাকা প্রকল্পের কাজ ফের শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। গ্রামাঞ্চল ছাড়াও শহরাঞ্চলেও একাধিক প্রকল্পে কাজ শুরু করা হবে। পর্যটন ছাড়াও এই কাজ শুরু হবে পূর্ত ও সেচ দপ্তরে। আজ শিলিগুড়িতে একাধিক দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, 'ভোরের আলো' গজলডোবা মেগা পর্যটন হাবে থমকে যাওয়া কাজগুলিও ফের শুরু হচ্ছে।
কর্মসংস্থান পাবে শ্রমিকরা
ইস্টার্ন বাইপাসে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজও ফের শুরু করা হচ্ছে। যেসব প্রকল্পে টেন্ডার না মিললেও রাজ্যের ছাড়পত্র পেয়ে কাজ শুরু করেছিল, সেই সব কাজও লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই প্রকল্পগুলির কাজও ফের শুরু করা হবে। পর্যটন দপ্তরের বিভিন্ন বাংলো, টুরিস্ট লজ সংস্কারের যে কাজ থমকে রয়েছে সেগুলিও চালু করা হচ্ছে। এর জেরে কিছু কর্মসংস্থান পাবে শ্রমিকরা।
স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনেই কাজ করা হবে
এই বিষয়ে মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, 'প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনেই কাজ করা হবে। যেসব কাজে কম শ্রমিক ও যন্ত্রপাতির মাধ্যমে করা যেতে পারে সেগুলিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও কিছু কাজের ছাড়পত্র মিলেছিল। সেসব দেখেই গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও কিছু প্রকল্পে কাজ শুরু করা হবে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ব্যবহার করে কাজ করবে শ্রমিকরা। জমায়েত এড়িয়ে কাজ এগোবে।'
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কাজ এগোবে
মন্ত্রী আরও বলেন, 'আমরা চাই না রাজ্যে এই নিয়ে ভুল বার্তা যাক। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা কাজ করব। পাশাপাশি ভিনরাজ্য থেকে যেসব শ্রমিকের দল রাজ্যে ফিরছে, তাঁদেরও কাজে লাগানো যাবে। ফলে কিছু কর্মসংস্থানের পথও সুগম হবে এই সিদ্ধান্তে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কাজ এগোতে থাকবে। প্রতিনিয়ত কাজগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করবে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি।'