বিজেপিকর্মীর স্ত্রী বলেই গণধর্ষণের শিকার বধূ! শাসককে ‘ধিক্কার’ কৈলাশ-মুকুলদের
খড়দহে গণধর্ষণের ঘটনায় পথে নামল বিজেপি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ধিক্কার মিছিল করলেন বিজেপির তাবড় নেতা-নেত্রীরা।
খড়দহে গণধর্ষণের ঘটনায় পথে নামল বিজেপি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ধিক্কার মিছিল করলেন বিজেপির তাবড় নেতা-নেত্রীরা। এই মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। তাঁদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা সবাইশাসকদেলর আশ্রিত। সেই কারণে চারদিন কেটে যাওয়ার পরও অভিযুক্তদের সবাইকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযোগ, খড়দহ গণধর্ষণ-কাণ্ডে এখন ধন্দে পুলিশ। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা সম্ভভ হয়েছে। নিমতা থানা এলাকা থেকে ধরা পড়েছে আশিস বিশ্বাস নামে একজন। অন্য তিনজন এথনও পলাতক। শনিবার আশিসকে বারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বাকিদের অবিলম্বের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিজেপির মহিলা মোর্চা ধিক্কার মিছিল করে। খড়দহ রহড়া বাজার থেকে শুরু করে খড়দহ থানার সামনে শেষ হয়। মিছিল শেষে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। এ রাজ্যে মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। দিনদুপুরে ধর্ষিতা হচ্ছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাঁদের।
মুকুল রায়ের অভিযোগ, অভিযুক্তদের আড়াল করা হচ্ছে। কারণ তাঁরা শাসকদলের কর্মী। আর নির্যাতিতার অপরাধ তাঁর স্বামী বিজেপির কর্মী। সেই কারণেই তাঁকে ধর্ষিতা হতে হল। বাংলার সরকারের এজন্য লজ্জিত হওয়া উঠিত।
লকেট চট্টোপাধ্যায়ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। তার মধ্যে গ্রেফতার করতে হরবে বাকি তিন অভিযুক্তকে। যদি সোমবারের মধ্যে সকলকে গ্রেফতার করতে না পারে প্রশাসনষ তবে লাগাতার আন্দোলন শুরু করবে বিজেপি।