শ্লীলতাহানি এড়াতে স্বামী-সন্তান নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ মহিলার!
আলিপুরদুয়ার, ২৩ সেপ্টেম্বর : ট্রেনের ভিতরেই এক বছর সাতাশের মহিলাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় একদল যুবক। সেই লজ্জা এড়াতেই স্বামী ও ১০ মাসের শিশুকে নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ মারলেন মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে। এই ঘটনা আরও একবার ট্রেনের ঠুনকো নিরাপত্তার ছবিটা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। [বাংলার ক্যারাটে কন্যার 'কিক'-এর ঘায়ে কুপোকাত ইভটিজাররা!]
চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেওয়ায় শরীরের বহু অংশে আঘাত লেগেছে ওই মহিলার। আলিপুরদুয়ারে রেলের হাসপাতালে আপাতত তিনি চিকিৎসাধীন। [বিমানে ঘুমন্ত মহিলার শরীর হাতড়িয়ে ৬ মাসের হাজতবাস এক ধর্মযাজকের]
পুলিশ সূত্রের খবর ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেওয়ারক পর ২ কিলোমিটার ঘন জঙ্গল পেরিয়ে কোনও মতে নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন রাজাভাতখাওয়া-য় পৌঁছতে সমর্থ হন দম্পতি। সেখান থেকে তাদের চিকিৎসার জন্য আলিপুরদুয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা এই দম্পতি। গাজিয়াবাদে তাঁরা কাজ করেন। ওই দম্পতি পুলিশকে জানিয়েছে, প্রায় ১০-১২ জনের একটি দল যাত্রার শুরু থেকে ওই মহিলাকে উত্যক্ত করতে শুরু করে। এই দলের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ ছিল বলেও মহিলা জানিয়েছেন। শিলিগুড়িতে অধিকাংশ যাত্রী নেমে যায় সাধারণ বগি থেকে। এমনকী আরপিএফ গার্ডরাও নেমে যায়।
[মেয়েদের সম্ভ্রম লুঠের ঘটনা 'ভগবানের ইচ্ছে', মন্তব্য অকালি বিধায়কের]
এই মহিলার কথায় এর পরই আরও হিংস্র হয়ে ওঠে ওই যুবকরা। অভিযুক্তরা ওই মহিলার স্বামীকে বেঁধে রেখে মহিলার গণধর্ষণ করার হুমকিও দেয়। দম্পতি এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন যে অবশেষে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপ দেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা।
দম্পতির অভিযোগ, হাসিমারা রেলস্টশনে নেমে ট্রেনের নিরাপত্তারক্ষীর কাছে গোটা ঘটনার বিবরণ দেওয়ার পর নিরাপত্তারক্ষী তাদের পরবর্তী স্টেশন আলিপুরদুয়ারে (যা সেখান থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে)দিয়ে অভিযোগ দায়ের করার পরামার্শ দেয়। অভিযোগ জানিয়ে কম্পার্টমেন্টে ফেরার পর হেনস্থার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। ভয়ে ১০ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিতে বাধ্য হন তাঁরা।