স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক মহিলার! খড়দহ ‘গণধর্ষণ’কাণ্ডে নয়া মোড় অভিযুক্তের বয়ানে
ছেলেকে টিউশনে দিয়ে ফেরার পথে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ। খড়দহের সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ছেলেকে টিউশনে দিয়ে ফেরার পথে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ। খড়দহের সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পরই গণধর্ষণের ঘটনা ঘুরে গিয়ে স্বেচ্ছায় সহবাসের দিকে। পাল্টা অভিযোগ, ওই গৃহবধূ অভিযুক্তের সঙ্গে স্বেচ্ছায় সহবাস করেছিলেন।
খড়দহ গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সমীর বিশ্বাস ওরফে বাবুকে দফায় দফায় জেরার পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই রাতে তার বাড়িতে স্বেচ্ছায় ওই বধূ এসেছিলেন, তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। ধর্ষণ নয়, স্বেচ্ছায় সহবাস করেছেন ওই গৃহবধূ। শুধু ওই রাতেই নয়, এর আগেও তিনি একাধিকবার তার বাড়িতে এসেছেন। সহবাস করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যায় খড়দহের পাতপলিয়ায় ছেলেকে টিউশন পড়তে দিয়ে ফেরার পথে গণধর্ষিতা হন গৃহবধূ। তাঁকে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে চারজন ধর্ষণ করেন। কাপড়ে মুখ বাঁধা দুজন তাঁকে তুলে নিয়ে যায়, গিয়ে দেখেন ওই নির্মীয়মাণ বাড়ির ভিতরে আরও দুজন রয়েছে। তাদেরও মুখ বাধা। এরপর তারা তাঁকে ধর্ষণ করে। স্থানীয়রা তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে ওই বাড়ি থেকে।
এই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশের কাছে ধন্দ রয়ে গিয়েছে বেশ কিছু বিষয়ে। প্রথম কথা ওই নির্মীয়মাণ বাড়ির আশেপাশে অনেক ঘরবাড়ি রয়েছে, তাঁরা কেউ মহিলারা চিৎকার শুনতে পেলেন না। নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামী যে জায়গায় ধর্ষণের কথা বলছেন, সেখানে কোনও প্রমাণ মেলেনি।
তারপর তদন্তের গতি অন্যদিকে মোড় নেয় মূল অভিযুক্ত সমীর বিশ্বাস গ্রেফতার হওয়ার পর। সমীর ওরফে বাবু তদন্তাকারীদের জানায়, কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি, স্বেচ্ছায় ওই গৃহবধূ সহবাসে লিপ্ত হতেন। তার বাড়িতেও আসতেন মাঝেমধ্যে। এর আগেও এসেছেন মহিলা।
এখন কে সত্যি বলছেন, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জেরা চালাচ্ছে পুলিশ। এর পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, ওই মহিলা যদি সহবাসে লিপ্ত হবেন, তাহলে গণধর্ষণের অভিযোগ করলেন কেন, কি-ইবা ঘটেছিল ওই রাতে।