নারী পাচারকারী তরুণী! নির্মম নির্যাতনের কাহিনি শুনলে শিউড়ে উঠবেন আপনিও
বাড়ির মেয়ে দীর্ঘদিন ঘর ছাড়া। কোনও খোঁজ মেলেনি অনেক খোঁজাখুঁজির পরও। তাই পরিবারের লোকজনের মনে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল মেয়েরই এক বান্ধবীর দিকে।
বাড়ির মেয়ে দীর্ঘদিন ঘর ছাড়া। কোনও খোঁজ মেলেনি অনেক খোঁজাখুঁজির পরও। তাই পরিবারের লোকজনের মনে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল মেয়েরই এক বান্ধবীর দিকে। তাঁদের সন্দেহ, ওই তরুণীই তাঁদের মেয়েকে ভিনরাজ্যে পাচার করে দিয়েছে। রাস্তায় ওই তরুণীকে পেয়ে তাই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটিয়ে দিল নিখোঁজ তরুণীর পরিবারের সদস্যরা।
নারী পাচারকারী সন্দেহে এক তরুণীকে মারধর করা হল প্রবলভাবে। মারধরেই শেষ নয়, মাথা ফাটিয়ে ক্ষতস্থানে দেওয়া হল লঙ্কাগুঁড়ো আর নুন। চাঞ্চল্যকর নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের ঝেজেরআইট গ্রামে। ভাঙড় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। নির্যাতিতা মহিলা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
[আরও পড়ুন: যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে নির্মম অত্যাচার 'সন্তানধারণ' বিতর্কে, রক্তাক্ত সালিশিসভাও]
ঝেজেরআইট গ্রামে রেবেকা খাতুন নামে এক তরুণী নিখোঁজ হয় কিছুদিন আগে। যেহেতেু রেবেকার সঙ্গে নির্যাতিতা তরুণীর সম্পর্ক ভালো ছিল, পরিবারের সন্দেহ হয় ওই তরুণীকেই। তাঁরা মনে করেন, ওই তরুণীই তাঁদের মেয়েকে ভিনরাজ্যে পাচার করে দিয়েছে। তা না হলে সামান্য ঘটনার জেরে রেবেকা বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে পারে না।
[আরও পড়ুন: ঘুম ভেঙেই দেখেন বিছানায় স্ত্রীর সঙ্গে কে যেন ধস্তাধস্তি করছে, হুলুস্থুলকাণ্ড হাসপাতালে]
নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, রেবেকা অশান্তি করে ঘর ছেড়েছে। তাঁদের মেয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। ওই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। নির্যাতিতা জানান, তাঁকে শুধু মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়নি, ক্ষতস্থানে নুন-লঙ্কা ছড়ানো হয়েছে। তারপর চুল কেটে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়। ধর্ষণ ও প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।