রেলস্টেশনের কাছে বধূকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার টিকিট পরীক্ষক
ডালখোলার বাসিন্দা ওই মহিলার স্বামী দিল্লিতে কর্মরত। বাড়িতে দুই ছেলে ও এক মেয়ের সঙ্গে থাকেন তিনি। সোমবার সকালে অসুস্থ মেয়ের জন্য ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে। ফরাক্কা স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে যখন তিনি ডালখোলা ফেরেন, তখন রাত ১০টা। অত রাতে স্টেশন থেকে বাড়ি ফেরার উপায় নেই দেখে তিনি প্ল্যাটফর্মেই থেকে যান। অভিযোগ, সেই সময় টিকিট পরীক্ষক ব্রিজকিশোর যাদব তাঁর কাছে এসে টিকিট দেখতে চান। তার পর বলেন, রাতে স্টেশনে থাকা যাবে না। তাতে বিপদআপদ ঘটতে পারে। তাই 'নিরাপদ' আশ্রয়ে থাকার প্রস্তাব দেন। মহিলা রাজি হওয়ায় তাঁকে স্টেশনের কাছে একটি ফাঁকা আবাসনে নিয়ে গিয়ে জোর করে ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। এলাকাটি নির্জন হওয়ায় কেউ তাঁর চিৎকার শুনতে পায়নি।
রাত একটা নাগাদ ওই টিকিট পরীক্ষক মদে চুর হয়ে আবাসনে ফেরে। সঙ্গে ছিল রেলের আর এক কর্মী, সঞ্জয় সিং। বাকি দুই শাগরেদ, রামনারায়ণ পাশোয়ান ও বিকাশ সিং-ও কিছুক্ষণ পর চলে আসে। এরা এলাকায় চোলাই মদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে খবর। ওই বধূকেও জোর করে মদ খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। তার পর তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। ভোরবেলা পালিয়ে যায় ওই চারজন।
সকালে ওই মহিলা বিধ্বস্ত অবস্থায় স্টেশনে এলে স্থানীয় মানুষ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে সব জানান। স্থানীয় মানুষই তাঁকে নিয়ে যান জিআরপি-তে। কিন্তু জিআরপি বলে, জায়গাটি তাদের এক্তিয়ারে পড়ে না। ফলে করণদীঘি থানায় তাঁকে অভিযোগ রুজু করতে হয়।
অভিযোগ পেয়ে তল্লাশিতে নামে পুলিশ। বুধবার রাতে বিহারের কিষেণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় ব্রিজকিশোর যাদবকে। বাকি তিনজনের খোঁজে জোরদার অভিযান শুরু করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম অরুণকুমার শর্মা জানান, এই ঘটনায় আলাদা করে বিভাগীয় তদন্ত হবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।