মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে হাতির আক্রমণে মৃত্যু মহিলার
মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে হাতির আক্রমণে মৃত্যু মহিলার
মেয়ের বাড়িতে এসে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। মঙ্গলবার সকালে দামোদর নদ লাগোয়া, আসানসোলের কালাঝরিয়া এলাকায়। বন বিভাগের সূত্রে জানা গিয়েছে যে মৃতের নাম অলোকা বাউরি। তার বয়স ৫২ বছর।
মেয়ের বাড়িতে এসে এদিন ভোরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি পুকুর পাড়ে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে একটি দলছুট হাতি তাকে আক্রমণ করে। হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তার। গত কয়েক দিন ধরে বাঁকুড়া জেলার সীমানা পেরিয়ে এসে এই এলাকায় তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে কয়েকটি হাতি। বনবিভাগের দাবি যে তারা চেষ্টা করছে এই হাতি গুলিকে বাঁকুড়া জেলাতে তাদের চেনা এলাকায় ও মূল দলের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে।
উল্লেখ্য রবিবার সকালে বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটির রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। মৃতের নাম শ্রীকান্ত লোহার। হাতি তাকে সামনে পেয়ে শুঁড়ে করে পেঁচিয়ে মারে। তার আগের দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানার এলাকায় যাত্রা বিষ্ণুপুর গ্রামে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এক আলু চাষীর।
পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাতির দল। এইবার তারা বাঁকুড়া জেলার সীমানা ও দামোদর নদ পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে আসানসোল এলাকায়। যার ফলে উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষ ও বন বিভাগের।
প্রতি বছর পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া জেলাতে হাতির আক্রমণে মারা যান অনেকেই। এই বছর, দক্ষিণবঙ্গে, জানুয়ারি মাসে এই পর্যন্ত হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল অন্তত এগারো জনের। হাতির আক্রমণে মৃতের সংখ্যা এই ভাবে বাড়তে থাকার জন্য উদ্বিগ্ন সকলেই। হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় খুঁজছে সকলেই।