'উন্নয়ন' ম্যাজিক! আসন না জিতেও পঞ্চায়েত গঠনের পথে শাসক দল
আসন না জিতেও পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পথে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনই ঘটনা পুরুলিয়ার খাজুরায়। বিজেপির টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা পর যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে।
আসন না জিতেও পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পথে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনই ঘটনা পুরুলিয়ার খাজুরায়। বিজেপির টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা পর যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। ফলে বোর্ড গঠনের ব্যাপারে শাসকদলের আত্মবিশ্বাস যেন বেড়ে গিয়েছে। তবে জয়ী দলীয় সদস্যরা শাসকদলে যোগ দেওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জবাব দিতে হচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে।
এযেন ২০১৩-র ভোটের চিত্রই ফুটে উঠেছে পুরুলিয়ার খাজুরায়। সেখানকার মানুষ ২০১৩-র পঞ্চায়েত ভোটে বোর্ড গঠনের জন্য সিপিএমকেই বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু গোল বাধল বোর্ড গঠনের কিছুদিন পর থেকে। বেশিরভাগ সিপিএম সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ে তৃণমূল।
২০১৮-র চিত্রটা একই। শুধু বিরোধীদলের রঙটাই শুধু আলাদা। ভোটে এলাকায় দাপটের সঙ্গে জয়লাভ করেন বিজেপির সদস্যরা। যদিও এরপরেই এলাকায় উন্নয়নের 'শ্লোগান' ওঠে। আর তাতেই বিজেপি-র জয়ী সদস্যরা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, বিজেপির টিকিটে জেতা ষষ্ঠীপদ রজক, বিনয় বাউরি, বিজয় বাউরি ও মানিক বাউরি। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের হাত থেকেই বিজেপি সদস্যরা তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন। পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী বিজেপি সদস্য সনাতন মুখোপাধ্যায়ও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
খাজুরায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ভয় ও প্রলোভন দেখানোর জেরে এই দলবদল। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল জবাব পাবে বলে, দাবি করছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।