মুকুলের প্রচ্ছন্ন মদতেই কি সৌমিত্রর ইস্তফার চাল! দিলীপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উঠছে প্রশ্ন
মুকুল রায়ের হাত ধরে যেভাবে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন, একইভাবে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসে যুব সভাপতি হয়েছেন।
মুকুল রায়ের হাত ধরে যেভাবে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন, একইভাবে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসে যুব সভাপতি হয়েছেন। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে টক্করে নেমে কি তিনি এবার মুকুল রায়ের সহযোগিতা পাবেন? নাকি ২০২১-এর নির্বাচনের আগে নিজের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত করবেন সৌমিত্র খাঁ!
ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে
দিলীপ ঘোষ বিজেপির যুব মোর্চার জেলা কমিটি বাতিল এবং একইসঙ্গে রাজ্য কমিটি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার পর ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। তাঁকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে দিলীপবাবু এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে তিনি ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। এবার তিনি ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।
সৌমিত্র খাঁয়ের এই সিদ্ধান্ত কি নিছক হঠকারিতা!
এখন প্রশ্ন উঠেছে সৌমিত্র খাঁয়ের এই সিদ্ধান্ত কি নিছক হঠকারিতা, নাকি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে জোহাদ ঘোষণা করে তিনি সঠিক করেছেন? তাঁর এই কাজে কি পূর্ণ সমর্থন আছে তাঁর ‘রাজনৈতিক অভিভাবক' মুকুল রায়ের। মুকুল রায়ের কোনও সমর্থন তিনি পাননি, উল্টে আর এক মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতা তাঁর সমালোচনাই করেছেন।
মুকুল-ঘনিষ্ঠরাও সমালোচনা করছেন সৌমিত্রর
মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শঙ্কুদেব পাণ্ডা সৌমিত্রকে একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেন, সৌমিত্র খাঁ নাবালকের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে তাঁর নিজের ক্ষতি হবে, দলেরও ক্ষতি হবে। শঙ্কু আবার ঘুরিয়ে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সমালোচনাও করেছেন। তিনি বলেন, দিলীপদা এই সমস্যার সমাধান অন্যভাবেও করতে পারতেন। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে করলে একুশের নির্বাচনের আগে বিতর্ক তৈরি হত না।
মুকুলের সমর্থন কোন দিকে, প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে
এখনও পর্যন্ত মুকুল রায় বা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। তাঁরা মুখ খোলার পরই স্পষ্ট হবে সৌমিত্র খাঁয়ের প্রতি তাঁদের সমর্থন রয়েছে নাকি দিলীপ ঘোষকেই তাঁরা সমর্থন করবেন। মুকুল রায় এখন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি। ফলে সেই পদে থেকে তিনি কতটা কী করতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মহাষ্টমীর শুভেচ্ছার পরই বার্তা
বিজেপি রাজ্য সভাপতি যুব মোর্চার সমস্ত কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর সৌমিত্র বলেছিলেন তিনি দিলীপদার সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু শনিবার সকালেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মহাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেই ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশেক কথা জানিয়ে তিনি গ্রুপ ছেড়ে দেন।
সৌমিত্র কী লেখেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে
সৌমিত্র লেখেন- শুভ মহাষ্টমী। সকলে ভালো থাকবেন। আপনাদের খুবই সহযোগিতা পেয়েছি। আমি চাই বিজেপিকে সরকারে আনতেই হবে। তাই হয়তো আমার অনেক ভুল ছিল, যা দলের ক্ষতি হচ্ছিল। তাই আমি রিজাইন দেব। সকলে ভালো থাকবেন।যুব মোর্চা জিন্দাবাদ, বিজেপি জিন্দাবাদ, মোদীজি জিন্দাবাদ।
দিলীপ কমিটি ভেঙে দিতেই মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতা গর্জন
বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ আদ্যান্ত মুকুল রায়ের অনুগামী বলে পরিচিত। মুকুল রায়ের হাত ধরে তিনি কংগ্রেসের পর তৃণমূল ও বিজেপির যুব দলের দায়িত্বে এসেছেন। তারপর থেকেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর বিবাদ। শুক্রবার তাঁকে না জানিয়েছে কমিটি ভেঙে দিতেই মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতা গর্জে উঠলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে।