কতটা সাহসী হবেন মুকুল! কোজাগরীর দিনে স্টান্টবাজিতেই আটকে যাবে না তো শো
লক্ষ্মীপুজোর দিনই তৃণমূলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা তাঁর। কিন্তু আদৌ তিনি কি লক্ষ্মীবারে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করবেন? নাকি তাঁকে নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত রেখেই এগিয়ে যাবেন তিনি
তিনি নতুন দল গড়বেন নাকি ঘাঁটি গাড়বেন বিজেপিতেই? তা-ই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে রাজনীতির অন্দরমহলে। কান পাতলেই আলোচনা- মুকুল রায় কী করবেন? মুকুলের তৃণমূল ত্যাগে কতটা ক্ষতি হবে মমতার দলের? হেভিওয়েট কোনও নেতা কি দল ছাড়বেন মুকুল রায়ের সঙ্গে? নাকি তৃণমূল ভাঙাতে না পেরে মুকুল রায় একলা হয়ে যাবেন একেবারে?
দল ছাড়লেও এখনও তাঁর গতিবিধি স্পষ্ট করেননি তৃণমূলের একদা 'সেকেন্ড ইন কম্যান্ড'। তিনি এখনও জল মেপে চলেছেন। সমস্ত পথই খোলা রেখেছেন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে লক্ষ্মীপুজোর দিনই তৃণমূলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করবেন বলে ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু আদৌ তিনি কি লক্ষ্মীবারে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করবেন? নাকি তাঁকে নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত রেখেই চলবেন তিনি।
রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সবথেকে আলোচিত নাম মুকুল রায়। তাঁকে নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। তাঁর বিজেপি-যোগ যেমন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে, তেমনই নতুন দল গড়া নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না। এরই মধ্যে রাজনৈতিক মহলে চর্চা- মুকুল রায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী বিস্ফোরণ ঘটান।
এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটাও কড়া মন্তব্য করেননি মুকুল রায়। এমনকী দল ছাড়ার কথা ঘোষণার দিনেও তিনি একটা শব্দ খরচ করেননি তৃণমূল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে। বলেছিলেন, পুজো মিটলেই তিনি জানাবেন তাঁর ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণ। ইতিমধ্যে তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে লক্ষ্মীপুজোর দিনই বিস্ফোরণ ঘটাতে চলেছেন মুকুল।
ওইদিনই তৃণমূলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেন তিনি। রাজ্যসভার সাংসদ পদ এবং তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদও ছেড়ে দেওয়ার কথা তাঁর। এই মুহূর্তে তাঁর ও বিজেপির মধ্যে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। প্রথমত মুকুলের সারদা-যোগ বিজেপির কাছে কাঁটা হয়ে বিঁধছে। আর মুকুল ভাবছেন, বিজেপি তে গেলে তিনি সংখ্যালঘু অনুগামী হারাবেন। কেননা মুকুল বিজেপির সাম্প্রদায়িক নীতির কট্টর বিরোধিতা করেছেন একটা সময়। এখন সেই দলে তিন কীভাবে যেতে পারেন। তিনি কী যুক্তি দেবেন অনুগামীদের?