হাঁড়িয়ার নেশায় আসক্ত দাঁতাল হাতি, বারবার লোকালয়ে ঢুকে চালাচ্ছে তাণ্ডব, আতঙ্ক আলিপুরদুয়ারে
ফের হাঁড়িয়ায় খাওয়ার সন্ধানে লোকালয়ে ঢোকার চেষ্টা করল বুনো দাঁতাল হাতি।
ফের হাঁড়িয়ায় খাওয়ার সন্ধানে লোকালয়ে ঢোকার চেষ্টা করল বুনো দাঁতাল হাতি। গত পাঁচ দিন আগে লোকালয়ে ঢুকে হাঁড়িয়া খেয়ে দিন ভর তান্ডব চালিয়েছিল বুনো হাতির দল। আলিপুরদুয়ারে নেশার টানে বার বার জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বুনো হাতি। এই ঘটনা রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে বনকর্তাদের। নেশায় আসক্ত হাতিদের চিহ্নিত করে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছেন বনকর্মীরা।
বুধবার লোকালয়ে ঢুকে পরে বিশালাকার দাঁতাল হাতি। এদিনও ফের জাতীয় সড়ক দাপিয়ে বেড়িয়েছে বড় বুনো দাঁতাল। ঘুরে ফিরে ফালাকাটার দলগাঁও চা বাগানের শ্রমিক বস্তিতে যাওয়ার চেষ্টা করে হাতিটি। নেশার টানে হাতিটি ফের দলগাও চা বাগানে ঢোকার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য ১৬ আগষ্ট এই দাতাল হাতিটি দলগাও চা বাগানে শ্রমিক বস্তিতে এক শ্রমিককের বাড়ির উঠোনে রাখা হাড়ি ভর্তি হাঁড়িয়া সাবাড় করে দেয়। সেদিন টাল খেতে খেতে ফালাকাটা বীরপাড়া জাতীয় সড়কে এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে। বুধবারও হাড়িয়ার টানে বেরিয়ে পরে বুনো দাঁতাল। জলপাইগুড়ি বনদফতরের দলগাও রেঞ্জের জঙ্গল থেকে এই বুনো দাঁতাল বেরিয়েছিল।
জানা গিয়েছে হাতিটি এদিন দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌছায় বনদফতরের কর্মীরা জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মাদারিহাট রেঞ্জ, জলপাইগুড়ি বনদফতরের দলগাঁও রেঞ্জের বনকর্মীরা।
রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা বলেন, হাতি একবার হাঁড়িয়া খেলে ও বার বার খেতে চায়। এই হাতিটির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। শুধু এই হাতিটি নয় উত্তরবঙ্গে এমন কিছু হাতি রয়েছে যারা একবার হাঁড়িয়া খেয়েছে তারা হাঁড়িয়াতে আসক্ত হয়ে উঠেছে। ফলে যে বাড়ি থেকে একবার হাতি হাঁড়িয়া খায় সেই বাড়িতে বার বার যাওয়ার জন্য লক্ষ্য করছে।