রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে মোনালিসার করুণ আর্তি- 'গুরুংয়ের শাস্তি চাই। আমার স্বামীর মৃত্যুর বদলা চাই। যেভাবে আমার স্বামীর মাথায় গুলি করে মারা হয়েছে, চাই সেভাবেই গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হোক গুরুংকে।' কিছুতেই থামানো যাচ্ছিল না অমিতাভের সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী মোনালিসাকে।

বিয়ের সাতমাসের মধ্যেই স্বামী হারানোর আর্তি বারবার ফিরে আসছিল। স্বামীকে হারিয়ে ভগ্ন হৃদয়ে ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থের সামনে এক বাক্যে মোনালিসা বলে চলছেন সেই কথা। আর একধারে মা ছেলের ছবি বুকে নিয়ে পাথর হয়ে গিয়েছেন শোকে। মাঝে মাঝেই ডুকরে কেঁদে উঠছেন। কোলের সন্তানকে হারিয়ে তিনি জড়়িয়ে ধরেছেন অমিতাভের ১১ বছর বয়সের একটি ছবিকে।

দীপাবলির ছুটি নিয়ে ছেলে আসবে সোমবার। তা নিয়ে কত কিছু পরিকল্পনা ছিল মায়ের। ছেলেকে কাছে পাবেন। ছেলের পছন্দের খাবার তৈরি করবেন। বাড়ি সাজিয়ে তুলেছিলেন ছেলে-বৌমার জন্য। সেই ছেলে দুদিন আগেই ফিরে এল কফিনবন্দি হয়ে। মোনালিসার সিঁদুরে রাঙানো সিঁথিটাও খালি হয়ে যাবে এবার। শোকের পাথর ভর করেছে মায়ের বুকে।
তাঁর ওঠার ক্ষমতা নেই বিছানা ছেড়ে। সীমাহীন শূন্যতা নিয়ে অমিতাভের ছবি বুকে আগলে মা পড়ে রয়েছে একধারে। অমিতাভের ছেলেবেলার ছবি নিয়েই মা মূর্ছা যাচ্ছেন ক্ষণে ক্ষণে। জ্ঞান ফিরলেই ডুকরে কেঁদে উঠছেন। একদিকে স্ত্রীর হাহাকার, অন্যদিকে সন্তানহারা মায়ের বুক ফাটা বেদনা।

সব কিছুকে পর করে অমিতাভ ফুলে ঢাকা শকট যানে চেপে চলে গেলেন বিলীন হতে। গান স্যালুটের পর শকট চুটে চলল নিমতলা ঘাটের দিকে। নশ্বর দেহ মিলিয়ে গেল, পড়ে থাকল শুধু স্মৃতি। সেই স্মৃতিকে ভর করেই সারা জীবন কাটাতে হবে বাবা-মা আর স্ত্রীকে। ভুলতে কি পারা যাবে অমিতভাকে!
Oneindia এর ব্রেকিং নিউজের জন্য . সারাদিন ব্যাপী চটজলদি নিউজ আপডেট পান.subscribe to Bengali Oneindia.