স্বামীকে ১৩ বছরের ছোট প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হত্যা! পুলিশকে খুনের বিবরণে চমকে যাওয়ার মতো তথ্য
স্বামীকে ১৩ বছরের ছোট প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হত্যা! পুলিশকে খুনের বিবরণে চমকে যাওয়ার মতো তথ্য
প্রেমিকের (lover) সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে (husband) খুন। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের (bhangar) । ১৩ অক্টোবর অষ্টমীর রাতের ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্ত্রী (wife) মুসলিমা বিবিকে গ্রেফতার করেছে। প্রেমিক সাইদুল শেখ ওরফে ছোট্টুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ (police)।
স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই বচসা স্ত্রীর
ভাঙড়ের বামনঘাটার কোচপুকুরের বাসিন্দা আনসুর আলি গাজির(৫৩) সঙ্গে প্রায়ই বচসা হত স্ত্রী মুসলিমা বিবির (৪৫)। স্থানীয় সূত্র এবং প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এই দম্পতির মধ্যে অশান্তি ছিল নিত্য দিনের। বাড়িতে পুত্র ও পুত্রবধূর সামনেই এই ঝামেলা হত।
সম্পর্কের ফাঁক গলে বয়সে ছোট প্রেমিকের দাপাদাপি
স্বামীর সঙ্গে নিত্য ঝগড়ার মধ্যেই ঢুকে পড়ে এলাকারই প্রায় ১৩ বছরের ছোট প্রেমিক। যা জানতে পেরে গিয়েছিলেন স্বামী আনিসুরও। এই সম্পর্কের প্রতিবাদও করেছিলেন তিনি। যার জেরে অশান্তি আরও তীব্র হয়। অন্যদিকে প্রেমিকের সাহায্যেই স্বামীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে মুসলিমা বিবি।
অষ্ঠমীর রাতে খুন
১৩ অক্টোবার অষ্টমীর রাতে স্বামী ছাড়াও বাড়িতে থাকা পুত্র এবং পুত্র বধূতে খাবারের সঙ্গে খুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় মুসলিমা বিবি। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাত ১১ টা নাগাদ বাড়িতে আসে প্রেমিক সাইদুল শেখ ওরফে ছোট্টু। এরপর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে ওই দুজন। সেই সময় সাইদুল বালিশ চাপা দেয় আর পা ধরেছিল স্ত্রী মুসলিমা। ঘুমের ওষুধের ঘোর কাটার পরে পুত্র ও পুত্রবধূ বাবাকে ঘরে পড়ে থাকতে দেখে। সন্দেহ হওয়ার তাঁরাই হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা আনসুর আলিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় দেহের ময়নাতদন্ত করে পুলিশ। রিপোর্টে শ্বাসরোধ করে মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়। এরপরে বাড়ি ও আশপাশের বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ প্রথমেই স্ত্রী মুসলিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সেখানেই ভেঙে পড়ে স্বামীকে হত্যার বিবরণ দেয় স্ত্রী।
স্ত্রী গ্রেফতার, প্রেমিক পলাতক
এরপর পুলিশ স্ত্রী মুসলিমা বিবিকে গ্রেফতার করে। তবে প্রেমিক সাইদুল শেখে ওরফে ছোট্টুর এখনও কোনও সন্ধান পায়নি পুলিশ। প্রেমে পথের কাঁটা স্বামী আনসুর আলি গাজিকে সরাতেই এই খুন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে নিয়েছে মুসলিমা। পুলিশ সূত্রে খবর, মুসলিমা জানিয়েছেন, তিনি নিজে স্বামীকে মারতে পারবেন না, তা সাইদুলকে জানিয়েছিলেন, তাই সে ঘরে এসে বালিশ দিয়ে শ্বাস বন্ধ করে দেয় আনসুরের। এদিকে এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই ভাঙড়ের কোচপুকুরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এও জানিয়েছিলেন, মুসলিমা আগেও একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।