তৃণমূলের হুগলি জেলা কমিটির ঘোষণা আচমকা কেন স্তব্ধ করলেন কল্যাণ! ঘাসফুলের অন্দরে কোন সমীকরণ
বৃহস্পতিবার হুগলির ঘড়ির মোড়ে হইভোল্টেজ সভা চলছিল তৃণমূলের। এই সভার শেষেই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুগলি তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করার কছা ছিল, তবে রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তে সভার একেবারে শেষে গিয়ে তা ভেস্তে গেল! এতেই বাংলার রাজনীতির আনাচকানাচে শুরু হয়েছে জল্পনা।

চুঁচুড়ায় তৃণমূলের সভায় কী ঘটেছে?
জানা গিয়েছে, চুঁচুড়ার পার্টি অফিসে জেলা কমিটিতে কারা কারা থাকছেন, তা নিয়ে কিছুটা আলোচনা শুরুও হয়ে গিয়েছিল সাংসদের উপস্থিতিতে। এরপরই হঠাৎ একটি ফোন আসে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইলে। এরপরই 'চুপ' সাংসদ! খুবই বিরক্ত দেখায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি সভায় বলেন, '.. আমি আর করব না। তোমরা যা ইচ্ছে করো। ' জল্পনা এরপরই চড়ে।

হুগলির কোন এলাকা ঘিরে নাম ঘোষণা শুরু করে দিয়ছেলিনে কল্যাণ?
জানা গিয়েছে, এর আগে সভায় গোঘাট এলাকার সদস্যদের নাম ঘোষণা করাও নাকি শুরু করে দেন তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু আচমকা একফোনই সব কিছু মাটি করে! সভায় বিরক্তিও প্রকাশ করেন কল্যাণ। যদিও বিষয়টি নিয়ে হুগলির তৃণমূল নেতৃত্ব কিছু বলতে চাইছে না।

ঘাসফুলের অন্দরে কোন খবর?
জানা গিয়েছে সদ্য কলকাতায় তৃণমূলের এক কোর কমিটির সভায় জেলা কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা হয়। ব্লক ও টাউনগুলি কার কার দায়িত্বে থাকবে , তৈরি তালিকা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এদিকে, তালিকা নিয়ে জেলাস্তরে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। এদিকে হুগলিতে শুরু হয় জনসভা। আর তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়।

কার ফোন আসে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে?
জানা গিয়েছে কলকাতা থেকে এই ফোন আসে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। বার্তা যায় পুরো কমিটি ঘোষণা করলেই সংঘাত তৈরি হতে পারে। ফলে সমস্যা তৈরি হবে। আর বিধানসভা ভোটকে নজরে রেখে দলের অন্দর দ্বন্দ্ব আর চায় না তৃণমূলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
