শুভেন্দু কেন বিধায়ক পদে থেকে শুধু মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন! কোন জল্পনা শুরু
গত কয়েক মাস ধরেই বাংলার রাজনীতির কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসাবে উঠে আসতে শুরু করেন মেদিনীপুরের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যাঁর নামে সমতল মেদিনীপুর থেকে পাহাড়ের দার্জিলিংয়ে পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। দলের নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর ক্রমাগত বাড়তে থাকা দূরত্ব বাংলা রাজনীতির গত কয়েকদিনে 'ম্যান অফ দ্য মোমেন্ট' বানিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিন মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফার ঘোষণার পর শুভেন্দু অধিকারীদেক ঘিরে একধিক প্রশ্ন উঠেছে।

পদত্যাগ হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান হিসাবে
শুধু রাজ্য মন্ত্রিসভা নয়, তার আগে এইচিআরবিসি,মন্ত্রী হিসাবে সরকারি নিরাপত্তা থেকে সরে আসেন শুভেন্দু। এরপর হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। একের পর এক জায়গা থেকে শুভেন্দুর পিছিয়ে আসার নেপথ্যে কোন ফ্যাক্টর কাজ করেছে তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।

আমার পরিবারের বিরুদ্ধে কেউ বাজে কথা বললে..
এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে বলতে শোনা গিয়েছে, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে আলু বিক্রি করতে হত।' এরপরই শুভেন্দু কল্যাণের এলাকা হুগলিতে গিয়ে এক সভায় বলেন, 'আমার পরিবারের বিরুদ্ধে কেউ ব্যাক্তিগত আক্রমণ করলে মানুষ তা মেনে নেবে না।' বোঝা যায়, শুভেন্দুর ক্ষোভ প্রশমিত করতে ব্যর্থ হয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। এরপরই ধীরে ধীরে ক্ষোভের মেঘ জমাট বাঁধে।

শুধু মন্ত্রিত্ব থেকেই পদত্যাগ কেন?
শুভেন্দু অধিকারী শুধুমাত্র মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বিধায়ক পদ এখনও তাঁর সঙ্গে রয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূলের সদস্য হিসাবেও তিনি রয়েছেন এখনও। আর এর নেপথ্যে মন্ত্রী পদ ঘিরে কিছু ফ্যাক্টর রয়ে যাচ্ছে।

শুভেন্দুর পারিবারিক সূত্রে কোন খবর?
এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী,
শুভেন্দু অধিকারীর পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে , অনেকগুলি পদে শুভেন্দু অধিকারী থাকার জন্য তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে। সে কারণেই পদ ছাড়ার সিদ্ধন্ত নেন তিনি। তবে বিধায়ক পদে শুভেন্দু এখনও আসীন রয়েছেন।

তৃণমূল ছাড়লে কোন পথে শুভেন্দু! বিজেপি ছাড়াও তিন সম্ভাবনা একুশের আগে