মতুয়ারা কেন নাগরিকত্ব চান, সিএএ-প্রশ্নে তরজা বাংলার আসন্ন নির্বাচনের আগে
মতুয়ারা কেন নাগরিকত্ব চান, সিএএ-প্রশ্নে তরজা বাংলার আসন্ন নির্বাচনের আগে
একুশের নির্বাচনের আগে মতুয়ারা বাংলার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। মতুয়া সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব দাবি আর নির্বাচন একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে সম্প্রতি। বাংলার মতুয়া রাজনীতির কেন্দ্রস্থল হিসাবে বিবেচিত উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগর। সেখানেই কান পাতলেই আলোচনা নাগরিকত্ব নিয়ে। অবশ্য এই প্রশ্নে দু-ভাগ মতুয়ারা।
নাগরিকত্ব প্রমাণে ভোটার বা আধার কার্ডই যথেষ্ট নয়
বিজেপি বোঝাচ্ছে সিএএ কেন গুরুত্বপূর্ণ মতুয়াদের জন্য। সম্প্রতি বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে গিয়েছেন, টিকাকরণ শে, হলেই নাগরিকত্ব পাবেন মতুয়ারা। কেননা নাগরিকত্ব প্রমাণে ভোটার কার্ড বা আধার কার্ডই যথেষ্ট নয়। দরকার নাগরিকত্বের কার্ড, যে নাগরিকত্বের কার্ড কারও হাতে নেই এখনও পর্যন্ত।
নাগরিকদেরই নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন, জল্পনায় সিএএ
তৃণমূল বলছে, মাতুয়ারা ইতিমধ্যে নাগরিক। বিজেপি নাগরিকত্বের ভাঁওতা দিয়ে বোট কিনতে চাইছে। মতুয়ারা এতদিন বাংলার সমস্ত নাগরিক পরিষেবা পেয়ে এসেছেন। মতুয়াদের প্রতিনিধিরা বিধানসভায় সংসদে মনোনীত হচ্ছেন, সাংসদ-বিধায়ক হচ্ছেন, তাহলে কেন তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তাঁরা তো প্রত্যেকেই নাগরিক।
একুশের ভোটের মুখে মতুয়ারা সংশয়ে নাগরিকত্বের প্রশ্নে
এক্ষেত্রে এক শ্রেণি প্রশ্ন তুলছে- আমরা যদি নাগরিক হই, তবে আমাদের এসসি কার্ড এবং ভোটার কার্ড কেন পর্যাপ্ত নয়? কেন আমাদের এত বেশি অতিরিক্ত দলিল চাওয়া হয়? আমরা যদি ভারতের নাগরিক হই তবে কেন আমাদের সর্বদা তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়? মতুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যেই এমন নানা প্রশ্ন কিন্তু জাগছে।
পশ্চিমা দেশগুলিতে সকলের নাগরিকত্বের কার্ড রয়েছে
ভারতের জন্য আলাদা নাগরিকত্ব কার্ড কারও নেই। একটি ভোটার কার্ড রয়েছে, আছে একটি আধার কার্ড। তবে এটি কোনও দেশে জাতীয়তার প্রমাণ নয়। পশ্চিমা দেশগুলিতে সকলের নাগরিকত্বের কার্ড রয়েছে। নাগরিক হিসাবে তাদের পরিচয় রয়েছে এবং কার্ড এটি প্রমাণ করে। আমাদের দেশে এর আগে কেউ এ নিয়ে ভাবেনি।
নির্বাচন জয়ের জন্য ভোটার হিসাবে রাখা হয়েছে
মতুয়াদের একাংশের কথায়, জনগণকে ভোটার কার্ড দেওয়া হয়েছে এবং নির্বাচন জয়ের জন্য ভোটার হিসাবে রাখা হয়েছে। তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে বা নাগরিকত্বের প্রমাণ নিয়ে কোনওদিন ভাবা হয়নি। ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন, যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে এনডিএ সরকার বাস্তবায়িত করেছিল।
ভারতে আসা শরণার্থীরা কি অবৈধ অভিবাসী, প্রশ্ন
এই আইনে ১৯৭১ সালের পরে ভারতে আসা শরণার্থীদের অবৈধ অভিবাসী হিসাবে ঘোষণা করার পাশাপাশি ভারতের মাটিতে জন্ম নেওয়া তাঁদের সন্তানদের বঞ্চিত করারও বিধান ছিল। এই আইন মোতাবেক জাতীয় নাগরিক নিবন্ধক গঠনেরও আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ যুদ্ধের পরে মতুয়াদের অনেকেই এই রাজ্যে চলে এসেছিলেন। ২০১৫ সালের সিএএ ২০০৩ সালের আইনকে বাতিল করে দেয়।
ভোটের মুখে অভিষেকের বিরুদ্ধে নয়া হাতিয়ার বিজেপির হাতে, তুলে দিলেন স্বয়ং মমতা!