কেন গৃহবধুর মতো করে স্কুটারে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা? প্রশ্ন তসলিমার
কেন গৃহবধুর মতো করে স্কুটারে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা? প্রশ্ন তসলিমার
বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনীতির ময়দানে নামতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকি একাধিকবার মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নামতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নামলেন তা অভিনব। গাড়ি ছেঁড়ে একেবারে ই-স্কুটারে বসে পৌঁছে গেলেন নবান্নে। এবং ফেরার পথেও রাখলেন চমক। সওয়ারি নয়, বরং নিজেই চেপে বসলেন স্কুটারের সামনে। আর তা দেখেতে রাস্তার দু'ধারে জমল ভিড়। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাইকে বসা নিয়ে কার্যত রসিকতা ছুঁড়ে দিলেন তসলিমা!
বাইকের দুপাশে পা দিয়ে বসে অনেকেই!
বাইক কিংবা স্কুটিতে মহিলাদের একপাশে পা দিয়ে বসাটাই চিরাচরত ছবি ছিল। কোনও মহিলা স্কুটি চালালে ফিরে তাকাতেন অনেকেই। কিন্তু যুগ পাল্টেছে! এখন ঘরে ঘরে মহিলারা স্কুটি চালান। এমনকি বাইক কিংবা স্কুটারে মহিলাদের একটা অংশ বাইকের দুপাশে পা দিয়েও বসেন। কিন্তু গৃহবধুদের বেশিরভাগই বাইক কিংবা স্কুটারের একধারে বসতে দেখা যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন যাওয়ার পথে একপাশে পা দিয়ে বসেছিলেন। আর সেভাবেই নবান্নে পৌঁছে যান তিনি। আর তাঁর এভাবে বসাটাকেই কার্যত রসিকতা করতে ছাড়লেন না তসলিমা নাসরিন।
কেন গৃহবধুর মতো বসলেন মমতা!
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে ই-স্কুটারে চেপে নবান্নে পৌঁছে যান। আর যাওয়ার পথে সাইড করে বসেন তিনি। আর সেই ছবি পোস্ট করে কার্যত টিপন্নি তসলিমার। তিনি তাঁর টুইটারে লেখেন, কেন একজন গৃহবধুর মতো করে সাইডে বসে গেলেন তিনি? কার্যত এতে যে বিপদ হতে পারত মুখ্যমন্ত্রীর সেই বিষয়টিও সামনে আনেন তসলিম। তিনি আরও লেখেন, মুখ্যমন্ত্রী কি তাঁর বিপদের কতটা ভুলে গেলেন। এভাবে বসার কারনে যে কোনও সময়ে হতে পারত বিপদ। আর সেই বিপদ এড়াতে তিনি নিজে স্কুটার চালাতে পারতেন বলে মন্তব্য লজ্জার লেখিকার। আর তা না হলেও অন্তত বিপদ এড়াতে ভালো ভাবে বসতে পারতেন তো তিনি? সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট তসলিমার।
|
বরাবরই নারীবাদে বিশ্বাসী তসলিমা।
বরাবরই নারীবাদে বিশ্বাসী তসলিমা। তিনি চান মেয়েরা নিজের পায়েই এগিয়ে যান। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বকাজে পারদর্শি হওয়ার যে ইমেজ নিয়ে চলেন, তাতে বোধ হয় পুরুষ সহকর্মীর পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর সওয়াজ হওয়ার বিষয়টি মানতে পারেননি তসলিমা। তিনি হয়ত চেয়েছেন মমতা নিজেই চালিয়ে নিয়ে যান স্কুটি। যদিও পরে সেই ছবি দেখা গিয়েছে। নিজেই স্কুটি চালিয়েছেন মমতা।
হাত থেকে পড়ে গেল ফোন!
তবে এদিন ফেরার পতে দুর্ঘটনার হাত থেকে কার্যত রক্ষা পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাওয়ার সময়ে ফিরহাদের বাইকের পিছনে বসে গেলেও ফেরার সময় নিজেই হ্যান্ডেল ধরে নেন বাইকের। আর সেই মতো চালানোর সময় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান। হঠাত করেই স্কুটারের সামনের চাকা ঘুরে যায়। যদিও সঙ্গে সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তার সঙ্গে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা ধরে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে হাত থেকে ফোনটি পড়ে যায় তৃণমূল নেত্রীর!
বাংলায় এবার চালচুির,তোলাবাজির টিকা লাগবে, করোনা টিকা নিয়ে মমতার চিঠির পাল্টা তোপ নাড্ডার