কেন আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে মুখ খুললেন না ছত্রধর?
মেদিনীপুর, ১২ মে : জ্ঞানেশ্বরী নাশকতা কাণ্ডে গতকালই ছত্রধর মাহাতো সহ ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল মেদিনীপুর আদালত। আজ ইউপিএ ধারা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ছত্রধর সহ ৬ দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিন কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ছত্রধর ও তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে আসা হয় মেদিনপুর আদালতে। সাজা ঘোষণার আগে এদিন আত্মপক্ষ সমর্থনে একটি বাক্যও উচ্চারণ করেননি ছত্রধর। যদিও দোষী সাব্যস্ত বাকি ৫ জনই এদিন আত্মপক্ষ সমর্থনে মেদিনীপুর আদালতে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেছিলেন।
ছত্রধরের পাশাপাশি সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সোরেন, রাজা সরখেল, সাগেন মুর্মু ও প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কেও যাবজ্জীবনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে রাজা সরখেল এবং প্রসূণ চট্টোপাধ্যায় ইউপিএ ধারা থেকে রেহাই পেলেও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে এই দুই নেতাকেও যাবজ্জীবন সাজা শোনানো হয়েছে।
তবে মেদিনীপুর আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। ফলে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হবে বলে এদিন জানিয়েছেন ছত্রধরের আইনজীবী।[রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ছত্রধর মাহাতো সহ ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড]
২০০৯ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর জেলের ভিতর থেকেই নির্বাচন লড়েন ছত্রধর। বন্দীমুক্তি কমিটি গঠন হওয়ার পরও রেহাই পাননি ছত্রধর। তবে ক্ষমতায় আসার আগে ছত্রধরের সঙ্গে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছত্রধরের ঘণিষ্ঠতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল শাসক দল সিপিএম। একই মঞ্চে দেখাও গিয়েছিল মমতা ও ছত্রধরকে। তবে কী কাজ ফুরোতেই ছত্রধরকে এভাবে সরালেন মমতা, প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক ছত্রধর অনুগামীরা। ছত্রধর অনুগামীদের কথায়, পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে যারা সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করেছিল তাদেরই আজ দেশদ্রোহী প্রমাণ করা হচ্ছে।
২০১০ সালের ২৮ মে গভীর রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। অভিযোগ ওঠে মাওবাদীদের সঙ্গে মিলে ছত্রধরের জনগণের কমিটির লোকেরাও রেল লাইন কেটে দেয়। যার ফলে এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। বহু মানুষ প্রাণ হারান।